বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণ বুঝতে পেরেছে এরা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে- এরা গণতন্ত্রকে ফেরত দেবে না। অর্থনীতিকে ভেঙে দিয়ে লুটপাট করেছে, তারা অর্থনীতিকে মেরামত করতে পারবে না। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে পারবে না। সমাজের ভারসাম্য আনতে পারবে না। দেশে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন করতে পারবে না। তার জন্য তাদের বিদায় করে দেওয়া উচিত।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে গণমিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামেন ট্রাকের উপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। মিছিলটি কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মগবাজারে পৌঁছে শেষ হয়।
আগামী ১১ জানুয়ারি গণ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস আজকে যারা এই গণমিছিলে যে সব জোট ও দল আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ঢাকায় কর্মসূচি করেছেন, সেসব দল যুগপৎভাবে আগামী ১১ জানুয়ারিও গণ অবস্থানের কর্মসূচি দেবেন। আর আমরা আহবান জানাই, এই আন্দোলনের সঙ্গে যারা একাত্মতা ঘোষণা করেছেন- আগামীতে এই গণ অবস্থান কর্মসূচিকে সফল করে দ্বিতীয় কর্মসূচি দিয়ে আপনারা এই সরকারের বিদায়ের দুই নম্বর সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করবেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারকে বিদায় করবে। তার নমুনা আজকের এই গণমিছিল। আর এ ধরনের স্বৈরাচার নিজেরা ক্ষমতা ছাড়ে না, তাদেরকে বাধ্য করতে হবে। তার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা প্রাণ দিয়েছে, সারাদেশে আমাদের ২৪ হাজার নেতাকর্মী জেলে। কিন্তু আমাদের দমাতে পারেনি। সুতরাং যতই গ্রেফতার করা হোক না কেন, রাস্তায় জনগণ নেমে গেছে, আর তাদের থামানো যাবে না।
নবচেতনা /এমএআর