গণমিছিল করার অনুমতি চেয়ে জামায়াত ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানানো হয় দলটির পক্ষ থেকে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এমন কোনও চিঠি তারা পাননি।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর রামপুরা আবুল হোটেলের সামনে থেকে মিছিল বের করে মালিবাগ মোড়ে আসলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে আশপাশের দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়।
বেলা ২টার দিকে মালিবাগ মোড় গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ এয়ার গ্যাস-কাঁদানি গ্যাস ছুঁড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে।
জামায়াতের মিছিলের কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, জামায়াত রামপুরা আবুল হোটেলের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে মালিবাগ রেলগেট হয়ে মৌচাকের দিকে আসে। এ সময় মৌচাক মোড়ে পুলিশের কিছু সদস্য বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সেই বাধা উপেক্ষা করে তারা মালিবাগ মোড়ে আসে। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার ডিসি মো. শহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, এসি রমনা ও এসি নিউমার্কেটসহ পুলিশের ১০-১২ জন সদস্য মিছিল থেকে হওয়া হামলায় আহত হয়েছেন। এছাড়া মিছিলকারীদের কাছ থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিসি শহীদুল্লাহ বলেন, জামায়াত শিবিরের ব্যানারে এই মিছিলটি মালিবাগ মোড়ে আসে এবং পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে। পুলিশ তাদের ওপরে কাঁদানি গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।
পরে ওই বিচ্ছিন্ন মিছিলের সাথে পুলিশের কয়েক মিনিট ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বর্তমানে মালিবাগসহ আশপাশের এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে মিছিলকারীরা শান্তিবাগের দিকের গলিতে ও মৌচাকের দিকে চলে যায়।
মালিবাগ মোড়ের সিএনজি পেট্রোল পাম্পের একজন বলেন, মালিবাগ মোড়ে ওই মিছিলের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে। এতে আশপাশে ধোঁয়া তৈরি হয় এবং গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানে পুলিশ শান্তিবাগ গলির মুখে সিএনজি পেট্রোল পাম্পের সামনে অবস্থান নিয়েছে। এখনও তারা সতর্ক অবস্থানে আছেন। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের মালিবাগ মোড়ে দায়িত্বরত টিআই নুরুজ্জামান বলেন, পুলিশের সাথে সংঘর্ষের পর পৌনে তিনটার দিকে মালিবাগ মোড়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত।