জাকজমকপুর্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদশ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সফলতার ৩ বছর পূর্তি উৎসব পালন করা হয়। দিবসটি পালনে ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালির শুরুতে ব্যান্ড পার্টির বাজনায় মুখরিত করে সেটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম এর আয়োজনে র্যালিতে ফার্মের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও খামারীগণ অংশগ্রহন করেন। র্যালিটি পৌর শহরের চৌরাস্তায় সাময়িক বিরতি দিয়ে সেখানে বক্তব্য দেন একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম ঠাকুরগাঁও শাখার ব্র্যাঞ্চ ইনচার্জ মো: সোহেল রানা (শোয়েব), হিসাব রক্ষক মো: নুর আলম, জুনিয়র প্রোডাকশন অফিসার মো: আনোয়ার হোসাইন, মো: আবুনুর আহম্মেদ রাশেদ, আলাল পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিস ফিড লি: পঞ্চগড়ের পরিবেশক কৌশল চন্দ্র রায়, মো: দেলোয়ার হোসেন, আলাল পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিস ফিড লি: বালিয়াডাঙ্গীর পরিবেশক মো: দবিরুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ। কোম্পানীর ঠাকুরগাঁও শাখার ব্র্যাঞ্চ ইনচার্জ মো: সোহেল রানা (শোয়েব) বলেন, এটি স্বতন্ত্র স্বাত্তাধিকারী মুরগী লালন পালনের চুক্তিভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত খামারীদের উন্নয়ন সহায়তা, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা পূরণে অবদান, মহামারী পরবর্তী সময়ে বন্ধ হওয়া পোল্ট্রি খামার পূনরায় চালু, কোন প্রকার বিনিয়োগ ব্যাতীতই উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরি, নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও স্বাবলম্বী, প্রান্তিক খামারীদের খামার ব্যবসা লাভবান, খামারে মুরগী লালন-পালনে প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যদি সহজলভ্য, দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপুর্ন অবদান রাখাসহ সহনশীল মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ প্রল্পটিকে স্বাবলম্বী করার কাজ করছে। উল্লেখ্য, দেশের বগুড়া জেলার সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলাল গ্রুপ দেশের পোল্ট্রি শিল্প, প্রান্তিক খামারী ও চাকুরীচ্যুত বেকার হয়ে যাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে এই খাতকে রক্ষার্থে ২০২০ সালের ১লা আগষ্ট একটি মাত্র শাখার মাধ্যমে সর্বপ্রথম “একাত্তর ইন্টিগ্রেশন ফার্ম বাংলাদেশ” প্রকল্পটি যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে ১৬ টি শাখা পরিচালনা করে আসছে।
///