ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের রাজধরপুর স্বর্গীয় দিলীপ ঘোষের বাড়ীর সামনের নদীর কুলের রাস্তা দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ইউনিয়নবাসীকে।
বিশেষ করে বর্ষাকালে তাদের দুর্ভোগ চরমে সেই সমস্যা বর্তমান বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন বারবার সংস্কারের দাবি তোলা হলেও এ পর্যন্ত এগিয়ে আসেননি কেউ। যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন দ্রুত জন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জানা গেছে, মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধা অরুন কুমার সরকার এর বাড়ীর সামনে থেকে স্বর্গীয় দিলীপ ঘোষের বাড়ীর সামনে নদীর কুলের এই বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আঃ রউফ সড়ক কামারখালী ইউনিয়নবাসীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটির বেশ কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে গেছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে যেয়ে যানবাহনে প্রায়ই দুঘর্টনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
সংবাদ শুনে মঙ্গলবার সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, তারা এল.জি.ই.ডি বিভাগে বারবার সংস্কারের দাবি জানিয়েও কোনো সাড়া পাননি।
দয়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রোকনুজ্জামান মৃধা জানান, তাদের বিদ্যালয়টি ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হলেও আসার জন্য একটি পাকা রাস্তা ছিল না।
গত প্রায় ১১ বছর আগে কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কিছুটা পাকা ও ইটের সলিং করে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু বর্তমানে রাস্তার বেশির ভাগ স্থানেই ইট উচু ও নিচু হওয়ায় পথচলাচলে ঝুঁকিপূর্ন হয়েছে। যার কারণে দয়ারামপুর, গন্ধখালী সরকারী ও উচ্চ বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় কামারখালী ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম আলী জানান, রাস্তায় অনেক খারাপ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষেরও নাভিশ্বাস ওঠে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ আলী মোল্যা ও মোঃ আবুল কালাম আজাদ রাস্তাটি চলাচলে মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেন। সেই সঙ্গে রাস্তাটি সংস্কারে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান তারা।
আবার কামারখালী ইউনিয়নের সাবেক সালামতপুর গ্রামের বর্তমান রউফনগর গ্রামে থেকে কামারখালী মছলন্দপুর বর্তমান বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কার মোল্যা বলেন আজও বীরমুক্তিযোদ্ধা ইউনিয়ন কামারখালী ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আব্দুর রউফ সড়কের রাস্তা আজও পাকা ও সংস্কার হলো না।
এদিকে কামারখালী ইউপি চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী বলেন শিক্ষার্থী সহ ইউনিয়ন ও এলাকা বাসীদের চলাচলে রাস্তাটি শিগগিরই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে মধুখালী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নিকট কামারখালী ইউনিয়নবাসী দাবী সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষ অচিরেই রাস্তাটি সংস্কার করা হোক।