ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী প্রধান সড়ক আর ফুটপাতগুলো এখন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও যানবাহনের দখলে। ফলে মানুষের চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সড়ক ও ফুটপাতগুলো। মানুষের নিরাপদ চলাচলের জন্য তৈরি হয়েছে ফুটপাত। আর যানজটমুক্ত রাখার জন্য সড়কগুলোকে প্রশস্তকরণ করা হচ্ছে।
কিন্তু জনসচেতনতার অভাবে কিছুতেই তা জনজট ও যানজটমুক্ত রাখা যাচ্ছে না। এদিকে সড়ক এর পাশে বসেছে দোকান আর হোটেল। তার ওপর চলছে রাস্তার উপর গাড়ীগুলো দাঁড় করিয়ে হচ্ছে কেনাকাটা ও খাওয়া দাওয়া । ফলে চরম বিপাকে পড়েছে পথচারীরা। ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে অধিকাংশ পথচারীকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে অহরহ।
আর যানজটের কারণে পথচারীদের সড়ক পার হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। একটু দুর্বল মানুষ হলেই তাকে পড়তে হয় অটো নয়তো মটর চালিত ভ্যানের নিচে। প্রধান সড়কের ওপর চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এর সাথে রয়েছে সড়কের ওপর গাড়ি পার্কিং।
মুছা খাঁনের বিসমিল্লাহ হোটেল থেকে সুজন এর হোটেল পর্যন্ত পাম পাশে- গাড়ি পার্কিং আর ডান পাশে রেলের ঘিরা যেন অটো আর রিকশায় ঠাসা। নিচে পা বাড়ালেই গাড়ির ধাক্কা।
সব মিলিয়ে কামারখালী বাসষ্টান্ড অধিকাংশ সড়ক আর ফুটপাত এখন ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। আড়পাড়া বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ সড়ক আড়পাড়া ইউনিয়নের জনগনের প্রধান সড়ক। এর ফলে এ সড়ক দিয়ে পথচারীদের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে।
কামারখালী বাজারের সাথে চলাচলের প্রধান সড়ক হচ্ছে সুজনের হোটেল থেকে একটু সামনে বীরশ্রেষ্ট সড়ক মোড় হতে প্রধান সড়ক পার হয়ে কামারখালী বাজারের যাওয়ার প্রধান সড়ক। এ পথ দিয়ে পথচারীদের চলাচলের সমস্যা হচ্ছে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে হোটেল ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালানো।
সাধারণ মানুষের আশা ছিল এবার হয়তো ফুটপাত দখলমুক্ত হয়ে পথচারীদের চলাচল সহজ হবে। কিন্তু তা আর হলো না। তারা এখন ফুটপাত সহ সড়ক পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে। এ পথ দিয়ে পথচারীদের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। কামারখালী বাজারে ঢুকার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে পথ মাদ্রাসার গলি।
সেখানের সড়ক আর ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাওয়ায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের ওপরই দোকান বসে বাজারের মত হয়ে গেছে। ফলে অসংখ্য ক্রেতাদের ভিড় হয়। ক্রেতাদের চাপে সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষের হাঁটাই দায়। এরই মধ্যে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির প্রশস্তকরণ হচ্ছে।
এখনতো সড়কটি দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হবার কথা। অথচ তা হয়নি। ব্যবসায়ীরা সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, অটোরিকসা ষ্টান্ড গড়ে তোলায় মানুষের চলাচল কঠিন হয়ে উঠেছে। এর পরও দূরবস্থা থেকে মুক্তি পায়নি পথচারী আর এলাকার মানুষ।
এখনও এ সড়ক আর ফুটপাতের উপর ছোট ছোট যানবাহনে সড়কের ওপর যাত্রীদের উঠা-নামা চলছে অহরহ। কেউ হোন্ডা, কেউ ব্যক্তিগত ট্যাক্সি আবার অনেক চালক অটো রাস্তার ওপর রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রীর অপেক্ষায়।
আবার অনেক ব্যবসায়ী নিজের মোটরসাইকেল রাস্তায় রেখে দোকানে ব্যবসা করছেন। ইতোমধ্যে অনেক সড়ক প্রশস্ত করণ হয়েছে কামারখালী বাসষ্টান্ড যানজট ও জনজটমুক্ত রাখার জন্য। জনসচেতনতার অভাবে কোনভাবেই যানজট ও জনজটমুক্ত রাখা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, কামারখালী সড়কের আশে পাশে সড়কের অবৈধ স্থাপনা মুক্ত করা হবে।
নবচেতনা /এমএআর