ফরিদপুরের সালথাায় একযুগ আগেও অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ব্যাপক হারে চাষ করা হতো সরিষা। তখন মাঠজুড়ে থাকতো হলুদ ফুলের আবরণে ঢাকা। পরে পাট-পেঁয়াজের চাপে সরিষাসহ অন্য ফসলের আবাদ একেবারেই কমে যায়।
গেল কয়েক বছর শখ করে ছাড়া বাণিজ্যিকভাবে এসব ফসল তেমন কাউকে চাষ করতে দেখা যায়নি। তবে গতবার থেকে ভোজ্য তেলের দাম কয়েকগুন বেড়ে যাওয়ায় এবং পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় সরিষার আবাদ বেড়েছে। যে কারণে উপজেলায় ৬৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে এবার। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলায় প্রচুর পরিমানে সরিষার চাষ হয়েছে। মাঠের পর মাঠ সরিষা খেতে হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে। মৌমাছির দল সরিষার ফুলের ওপর দিয়ে ঘুরাঘুরি করছে আর গুনগুন করে গান গাইছে। সরিষার ক্ষেতের এমন দৃশ্য গত ১০-১২ বছরেও চোখে পড়েনি। পেঁয়াজের পাশাপাশি সরিষা উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। অনেকে আবার পেঁয়াজের চেয়ে সরিষার চাষের দিকে নজর দিচ্ছেন বেশি।
সোনাপুর ইউনিয়নের কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, তেলের দাম বাড়ায় পেঁয়াজের পাশাপাশি এবার জমিতে সরিষা বুনেছি। অনেকে তেলের চাহিদা মেটানোর জন্য জমিতে সরিষার বুনাইছে। ফসলি জমির পাশাপাশি পতিত জমিতেও সরিষা বুনানো হয়েছে। যদি ফলন ভাল হয়, তাহলে উৎপাদিত সরিষা থেকে যে তেল আসবে, তা দিয়ে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করতে পারবো।
সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস বলেন, গতবারের চেয়ে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৬৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করছি সরিষার ফলন ভাল হবে।