বিএনপির ঘোষিত ১০ দফা সরকার আপোসে মেনে নিবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের রায় হচ্ছে এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই ১০ দফা আমাদের যে দাবি তা পূরণ করতে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকার আপোসে তা মেনে নিবে না। তাই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন ফয়সালা হবে রাজপথে। বীর চট্টলার মানুষ সেই ফয়সালা রাজপথে করার জন্য প্রস্তুত।
শনিবার বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ সংলগ্ন ওয়াসা মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির গণমিছিলের পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশারফ বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, জনগনের ভোট দিয়ে নির্বাচিত নয়। তাই এই সরকারের দেশের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। সেই জন্য আজকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকার লুটেরা সরকার, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকার কারনে আজকে অর্থনীতির এমন অবস্থা হয়েছে যে, আমদানিকারকরা এলসি খুলতে পারে না। তার জন্য আজকে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ অবস্থা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে গরিব মানুষ না খেয়ে থাকছে, মধ্যবিত্ত মানুষ আরো গরীব হয়ে গেছে। আগে যেখানে দারিদ্রের সীমা ২০ শতাংশের নিচে ছিল, এই সরকারের দুর্নীতি ও অর্থনীতি ধ্বংস করার কারণে সেই দারিদ্রের সীমা ৪০ শতাংশে উঠে গেছে। সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করে দিয়েছে।
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, কিছুদিনের মধ্যে একটা হুইসেল দিবে। সেই হুইসেল মানে সরকার পতনের হুইসেল। তখন লাখ লাখ জনতার রাজপথ দখল করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলে নির্বাচন নাকি করতে দিবে না। আমরা নির্বাচন করবো, সেই নির্বাচনে জয়ী হবো। সেই ভয়ে আজকে সরকারের হৃদকম্পন শুরু হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম বিএনপির চট্টগ্রাম। আগামী হুইসেলের জন্য অপেক্ষা করেন, দেখবেন সকালে উঠে তারা সবাই পালিয়ে গেছে। আবার জনতা ক্ষমতায় আসবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দীন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
নবচেতনা /এমএআর