ভাষণে দেশ স্বাধীন হয় নাই, ভাষণে গণতন্ত্র আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার বিকালে রাজশাহীতে বিএনপির গণমিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশের মতো রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে গণতন্ত্র নির্বাসিত, গণতন্ত্র গুম হয়ে গেছে। সংসদ বহাল রেখে সংসদ নির্বাচন হতে পারে না। এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বর্তমানে দেশের উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই নির্বাচিত হচ্ছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই। আমরা ন্যায় বিচার পাই না। আমরা আইনের শাসন পাই না। আমরা আইনের নির্যাতন পাই।
তিনি বলেন, আমদের কাছে রাষ্ট্র ক্ষমতা মূল কথা নয়। আমরা চাই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। আমরা ১০ দফা নিয়ে মাঠে নেমেছি। এই ১০ দফার মূল কথা সুষ্ঠু নির্বাচন। যার ভোট সে দিবে। দিনের ভোট দিনে দিবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রায় বলেন, আপনারা জানেন ১০ লক্ষ কোটি টাকা এই সরকারের লুটপাটকারীরা পাচার করে দিয়েছে। এই লুটেরা দলটিকে আমাদের ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। হটাও হাসিনা বাঁচাও দেশ। জনগণের বাংলাদেশ। টেক ব্যাক বাংলাদেশ। বিএনপির ১০ টি বিভাগীয় সমাবেশে সরকার কী ধরণের তাণ্ডব চালিয়েছে তা আপনারা দেখেছেন। এই সরকারের তাণ্ডব মোকাবেলা করতে গিয়ে আমাদেরকে এক দিনের জায়গায় তিন দিন ব্যয় করতে হয়েছে। কর্মসূচিতে আমাদের যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তার চাইতে তিন গুণ বেশি ব্যয় করেও এই সরকার, তবু আমাদের কর্মসূচি বন্ধ করতে পারে নাই। বরং সমাবেশ পণ্ডের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা এবং তাদের উপর হামলা করেও গণসমাবেশে অংশগ্রহণ বন্ধ করতে পারে নাই।
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আমরা স্থিতিশীল পরিবেশে ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। তাই ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে বিএনপির ঢাকার কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যদি বর্তমান সরকার পদত্যাগ না করে, গণআন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, দেলোয়ার হোসেনসহ মহানগর ও জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
নবচেতনা /এমএআর