বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তারা ১০ ডিসেম্বর পারেনি। ৩০ তারিখেও ঘোড়ার ডিম পাড়বে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। মোকাবিলা হবে আগুন সন্ত্রানের বিরুদ্ধে। মোকাবিলা হবে, খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে, ভুয়া ভোটারের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে। খেলা হবে আবারও নির্বাচনে, আন্দোলনে।’
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে দলের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারেক রহমান হাওয়া ভবনের যুবরাজ। মুচলেকা দিয়ে চলে গেছে। আর কোনো দিন রাজনৈতিক করবে না। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমান। এগুলো ভুলে গেলে চলবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের অগণিত কর্মী বাহিনী। সারাদেশ থেকে শীতের ভোরে চলেছে দলকে ভালোবেসে, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার কথা শুনতে। কে এই শেষ হাসিনা? যিনি সব হারিয়ে জীবনের জয়গান গান। ধ্বংসের মাঝে দাঁড়িয়ে সৃষ্টির জয়গান গান।
তিনি বলেন, সারাবিশ্ব অবাক, কী করে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করলো বাংলাদেশ। আর আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষরা, আমি শত্রু বলছি না, প্রতিপক্ষরা হিংসায় জ্বলে। তাদের মনে বড় জ্বালা, বড়ই অন্তর জ্বালা।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেই ফেললেন। ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন। একযোগে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করলেন। এ জ্বালা আর তারা সইতে পারেন না। তারা জানে নির্বাচন করলে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। সেজন্য সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে করোনার মধ্যেও সম্মেলন হয়েছে। আমাদের অঙ্গীকার আমরা মানুষের পাশে থাকবো। জনগণের প্রতি ভালোবাসা আমার জীবন ও রাজনীতিকে বৈশিষ্ট্যময় করেছে।