গাজীপুরে প্রসবকালীন অধিকাংশ মা মাতৃত্বকালীন চিকিৎসা সেবা নেয়া থেকে বিরত থাকেন। তাদের মধ্যে ভাসমান মাতৃত্বকালীন মায়ের সংখ্যা বেশি।
এদের বেশিরভাগ নিজ নিজ বাড়ি বা দাইয়ের কাছে প্রসব চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় ক্লিনিকে নিয়ে আসেন।
চিকিৎসা নেয়ার ব্যাপারে অসচেতনতা, অসাবধানতার কারণে এমনটি হয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন মেরী স্টোপস ক্লিনিকের গাজীপুর বোর্ড বাজার শাখার ব্যবস্থাপক আসিফ মাহমুদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজীপুর প্রেসক্লাব ভবনের মিলনায়তনে মেরী স্টোপস বাংলাদেশের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি ওই তথ্য জানান।
আসিফ মাহমুদ আরো জানান, মাসে প্রসবকালীন চিকিৎসা নিতে আসা ১’শ মায়ের মধ্যে ৪০ ভাগ মায়ের স্বাভাবিক প্রসব এবং ৬০ ভাগ মায়ের বিভিন্ন জটিলতার কারণে সিজারিয়ান অপারেশন করানো হয়।
তাদের মধ্যে রোগীর জরায়ুতে টিউমার, বিস্তৃত গর্ভফুল, রক্তস্বল্পতা প্রভৃতি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব মা’য়েরা প্রসবের আগে ধারাবাহিক এবং নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ব্যাপারে অসতর্ক এবং উদাসীন। তাছাড়া গাজীপুরে প্রশিক্ষিত দাইয়ের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
গাজীপুরে মেরী স্টোপস এর দুইটি শাখা রয়েছে ‘ টঙ্গী এবং বোর্ডবাজার এলাকায়। এবং সমগ্র বাংলাদেশে ৪০টি।
জরুরি সেবার জন্য তাদের হট লাইন নাম্বার(০৮ ০০০ ২২২ ৩৩৩) রয়েছে যেখানে ২৪ ঘন্টা ফোন কলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ টোল ফ্রিতে পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়াও whatsapp এর মাধ্যমে অভিযোগ আমলে নেয়া হয় (০১৭৬২-৬৮৬৮৬৮) ।
তিনি জানান, গাজীপুর শিল্পাঞ্চল হওয়ায় এখানে ভাসমান মানুষের বসবাস বেশি। পিক আওয়ারে সুযোগ না থাকা, পোশাক কারখানায় চাকুরী, তথ্য না জানাসহ মাতৃত্বকালীন চিকিৎসার ব্যাপারে বঞ্চিত থাকে।
মেরী স্টোপস ক্লিনিকের দেয়া চিকিৎসা সেবা এবং তাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষণে গাজীপুরের প্রেক্ষাপটে এসব চিত্র উঠে এসেছে। মেরী স্টোপস এসব ক্ষেত্রে রোগীর চাহিদানুযায়ী চিকিৎসা সেবা দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন টিভি ব্যাক্তিত্ব শাহনাজ মুন্নী।
বক্তব্য দেন মেরী স্টোপস বাংলাদেশের ডিরেক্টর জাহিদুল ইসলাম আনসারী, ক্লিনিক অপারেশন্স ম্যানেজার আসাদুজ্জামান, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক মাসুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন আহম্মদ, ডিরেক্টর এক্সটারনাল রিলেশন্স এন্ড নিউ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. ফারহানা আহমেদ, ডা. শারমীন খান, ডা. ইসমত জাহান নাদিয়া, ডা. রেহানা সরদার প্রমূখ।