দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার একটি পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিতেই নেই ফগার মেশিন। পৌরসভায় দুইটি ফগার মেশিন থাকলেও সেগুলোর ব্যবহার নেই। ফলে ডেঙ্গু মশার বিস্তার ঝুঁকিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা। এরমধ্যে শুধুমাত্র ফুলবাড়ী পৌরসভার নিজস্ব দুইটি ফগার মেশিন থাকলেও সেগুলো চলতি বছরের মশা নিধনে ব্যবহার হয়নি। তবে এলুয়ারি, আলাদিপুর, কাজিহাল, বেতদীঘি, খয়েরবাড়ী, দৌলতপুর ও শিবনগর এই সাত ইউনিয়নে কোন ফগার মেশিন নেই।
কাজিহাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মানিক রতন বলেন, তিনি দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এরমধ্যে মশা নিধনের জন্য ফগার মেশিনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ফগার মেশিন সংগ্রহ করা যায়নি। ফলে দীর্ঘ ৮ বছরে একদিনও মশা নিধন করা যায়নি। ফলে ইউনিয়নবাসী ডেঙ্গা মশার আক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
বেতীঘি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ শাহ মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, মশা নিধনে সরকারি কোনো বরাদ্দ নেই। মশা নিধনে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো (ফা-) তহবিলও নেই। এ জন্য খরচ করতে হলে উপজেলা পরিষদের অনুমতি লাগবে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য বিভাগ যদি কোনো ওষুধ দেয়,তাহলে তারা মশা নিধন ওষুধ ছিটাতে পারতেন।
ফুলবাড়ী পৌরসভা মেয়র মো. মাহমুদ আলম লিটন বলেন, বর্তমানে মশার উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মশা নিধনের জন্য সরকারি কোনো বরাদ্দ না থাকায় নিজস্ব তহবিল থেকে মশা নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মশিউর রহমান বলেন, ডেঙ্গা মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে জরুরি হচ্ছে জনসচেতনা। বাড়ীর আগাছাসহ পাত্রের পানি পরিষ্কার রাখা জরুরি। একই সাথে নিয়মিত মশা নিধনের জন্য ওষুধ স্প্রে করা। জমাট বাধা অপরিষ্কার পানি হচ্ছে ডেঙ্গু মশার উৎপাদন কারখানা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ডেঙ্গুর উৎপাত রোধে স্থানীয়দের সচেতনতা জরুরি। এজন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ইউপিতে কিভাবে ফগার মেশিন কেনা যায় কিংবা সরকারিভাবে ফগার মেশিন পাওয়া যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদগুরো দ্রুত মশা নিধন যন্ত্র ফগার মেশিন কেনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।