বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাকুরিহাটা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বস্ত্রীক সহোদার ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে, এ বিষয়ে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাকুরিহাটা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মণ্ডলের তিন ছেলের মধ্যে আফতাব হোসেন মন্ডল(৬০) সবার বড় কিন্তু তার পুত্র সন্তান না থাকায় মেঝ ভাই আতিকুর রহমান বুলু মন্ডল এবং ভাস্তে জিয়াউল হক জেরিন দাপটের সাথে পৈতৃক বসতভিটা দখল করে রেখেছেন, নিজ বসতবাড়ী ছেড়ে দীর্ঘদিন যাবত ক্রয়-কৃত সম্পত্তির মধ্যে বাড়ি নির্মাণ করে জীবন যাপন করছেন, তার পৈতৃক বসত ভিটায় গেলেই ভাই, ভাস্তে ও ভাবী মারতে উদ্যত হয় ১৯শে ডিসেম্বর সোমবার আফতাব হোসেন তার বসত ভিটায় থাকা একটি কাঠের গাছ কাটতে গেলে বুলু মন্ডল এবং তার ছেলে জেরিন মন্ডল এবং ভাবি জাহানারা খাতুন গাছ কাটতে বাধা দেয় তাদের কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দ্বারা আফতাব হোসেন মন্ডলকে সজোরে আঘাত করে সেই সাথে তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকেও এলোপাথাড়ি মারপিট করে আহত করেন পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন । তন্মধ্যে আফতাব হোসেন মন্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হসপিটালে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনাস্থলে গেলে আব্দুর রহমান মন্ডলের ছোট ছেলে আসাদুল ইসলাম দুলু জানান আমার মেজ ভাই বুলু মন্ডল আসলে একজন বদমেজাজি এবং তার ছেলে জেরিন মন্ডল একজন উশৃংখল বখাটে যুবক তারা আমাকে আমার নিজ দখলীয় সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বেশ কয়েকবার হামলা ও মারধর করেছে, ঘটনা পরিক্রমায় আজকে বড় ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে বড় ভাই ও ভাবিকে মারধর করেছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম জানান আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ঘটনার সত্যতা মিলেছে বিবাদীপক্ষ পলাতক রয়েছেন বাদীপক্ষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।