দিনাজপুরের কাহারোলের ছয় ইউনিয়নে আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত আলু চাষিরা। বর্তমানে আগাম জাতের আলুর দাম বড় ধরনের দর-পতন হয়েছে। প্রতি কেজি আলু ১৩ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে সাত থেকে আট টাকা কমেছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, আলুর ক্ষেতে আগাম জাতের আলু তুলতেছে শ্রমিকরা। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় দুই হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে আলুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে প্রায় দুই হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৭৫০ হেক্টর। বর্তমানে উপজেলায় আগাম জাতের আলুর জমি হতে আলু উত্তোলন করে বিক্রি করছে আলু চাষিরা। তবে মৌসুমের শুরুতে আলুর দামের দর-পতন হয়েছে, এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখান থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে আলু ক্রয় করেছেন ঢাকা কাওয়ারান বাজার এলাকার ব্যবসায়ী জালাল উদ্দীন। তিনি জানান, গাড়ি ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে আলুতে লাভ হচ্ছে না। উপজেলার বলরামপুর গ্রামের চাষি আব্দুল বারেক জানান, ৪০ শতক জমি আলু বিক্রি করে লাভ হয়েছে পাঁচ হাজার টাকা। বাজারে আলুর দাম কম থাকায় এবার লাভ হচ্ছে না আলু চাষিদের। আলু চাষিরা জানান, হিমাগারে প্রচুর পরিমাণ পুরাতন আলু থাকায় নতুন আলুর দাম কম হচ্ছে। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সাদেক জানান, বর্তমানে বাজারে একসঙ্গে আলু আসায় দাম কিছুটা কমেছে। তাতে কৃষকের কিছুটা ক্ষতি হলেও আলুর জমিতে ভুট্টা চাষ করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে আলু চাষিরা। আর কয়েকদিন পরে আলুর দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন তিনি।
নবচেতনা / এমএআর