টাঙ্গাইলে একসময় পাঁচটি সিনেমা হল থাকলেও এখন একমাত্র মালঞ্চ হলটিই টিকে আছে।
কয়েক ঘণ্টা পরই অনুষ্ঠিত হবে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের বহু প্রতিক্ষিত ফাইনাল। আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই খেলার দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে টাঙ্গাইলের একমাত্র সিনেমা হল ‘মালঞ্চ হল’ কর্তৃপক্ষ।
রোববার রাত ৯টায় সরাসরি এই হলের বড় পর্দায় দেখানো হবে ফাইনাল খেলা। তাই সকাল থেকেই শহরে মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
মালঞ্চ সিনেমা হলের কর্তৃপক্ষ জানান, হলটি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময়ে টাঙ্গাইল শহরে পাঁচটি সিনেমা হল ছিলো। * রুপবানী সিনেমা হল,* রওশন সিনেমা হল,কেয়া সিনেমা হল,রুপসী সিনেমা হল, কিন্তু বর্তমানে মালঞ্চ সিনেমা হলটি একমাত্র টিকে আছে। এই হলের আসন সংখ্যা ৩৫০টি।
কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে সাড়া দিয়ে এর মধ্যেই হলটিতে অগ্রিম টিকিট কিনতে আসতে শুরু করেছেন ফুটবলপ্রেমিরা।
তারা জানান, পুরো বিশ্বকাপ খেলা বাসায় বসেই দেখেছেন। কিন্তু এবার তাদের প্রিয় দল আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলবে এই আনন্দে তারা বড় পর্দায় খেলা দেখার জন্য মালঞ্চ সিনেমা হলে এসে অগ্রিম টিকিট ক্রয় করেছেন।
টাঙ্গাইলের মালঞ্চ সিনেমা হল
শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাওন মিয়া বলেন, “আমি আর্জেন্টিনা সার্পোট করি। বিশ্বকাপের অন্যান্য খেলা নিজের ও বন্ধুর বাসায় দেখলেও আজকে বড় পর্দায় খেলা দেখতে মালঞ্চ হল থেকে বন্ধুরা মিলে পাঁচটি টিকিট কিনেছি।
“অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকে আনন্দ-উল্লাসে খেলা দেখবো। আমার বিশ্বাস কাতার বিশ্বকাপটি আর্জেন্টিনার ঘরে যাবে।”
আরেক টিকেট ক্রেতা রবিন তালুকদার বলেন, “বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই বাড়তি উম্মাদনা। অন্যান্য খেলা বাসায় বসে দেখলেও ফাইনাল খেলাটি মালঞ্চ হলের বড় পর্দায় দেখার সিন্ধান্ত নিয়েছি। সকলে মিলে খেলা দেখলে আনন্দ-উল্লাস করতে পারবো।”
মালঞ্চ হলের ব্যবস্থাপক আব্দুল মিয়া বলেন, বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলাটি বড় পর্দায় দেখতে সকাল থেকেই অনেক দর্শক আসছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একাধিক টিকিট ক্রয় করছে। স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার কিছুটা হলেও আমেজ পাবে দর্শকরা। এজন্য শহরে মাইকিং করা হচ্ছে।”
মালঞ্চ হলের মালিক জাহিদুর রহমান বলেন, “গত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্যও আমরা আয়োজন করেছিলাম। সাড়াও পেয়েছিলাম ভাল। সেই চিন্তা থেকে এ বছরও খেলা দেখার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকে ভালই টিকেট বিক্রি হচ্ছে।”