ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া, কামারখালী এবং বাগাট ইউনিয়নের সুযোগ্য উপদেষ্ঠা মন্ডলীর আয়োজনে সার্বজনীন মাঝবাড়ী মহাশ্বশানে কামারখালী মছলন্দপুরে ৬১টি মূর্তি প্রদর্শন, শ্রী শ্রী চন্ডি, শ্রীমদ্ভগবত পাঠ ও কবিগান, পদাবলী কীর্তনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে শ্রী শ্রী রক্ষা মায়ের কালী পূজা ও মেলা।
উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে মছলন্দপুরে এই মেলাকে ঘিরে এখন উৎসব আমেজ। ঢল নেমেছে মানুষের।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ পূজা ও মেলা চললো ৫ দিন।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানায়, এই চার ইউনিয়নের উদ্যোগে একটি সুন্দর কমিটির মাধ্যমে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কালী পূজাকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন হলেও তা আর কেবলই হিন্দু সম্প্রদায়ের মেলা হিসেবে আবদ্ধ থাকে না। রূপ নেয় সর্বজনীন উৎসবে।
পূজার দু-চার দিন আগেই স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়ে বাবার বাড়িতে মেয়েরা বেড়াতে আসে এ পুজায়। মেলায় দেশ-বিদেশের অনেক ভক্তও আসে। মেলাকে কেন্দ্র করে ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এক সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে।
কালী মন্দিরের সভাপতি শ্রী অনিল কুমার মালো জানান, পূজা ও মেলাকে ঘিরে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে এখানে অন্তত হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কালী পূজার মেলা কে ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মধুখালী থানার পুলিশ ফোর্স সব সময় নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আছেন।
পূজা চলাকালীন সময়ে পরিদর্শন ও কমিটির সাথে মতবিনিময় করেন ফরিদপুর -১আসনের সংসদ সদস্য মুনজুর হোসেন বুলবুল, মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ আকরামুল করিম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, সংসদ সদস্য মুনজুর হোসেন বুলবুল এর সহধর্মিনী সেলিনা আক্তার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল, মধুখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল হক বকু, মধুখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুরাদুজ্জামান মুরাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এম. বাবুল আক্তার, প্রচার সম্পাদক মোঃ আতিয়ার রহমান, আলফাডাঙ্গা উপজেলা থেকেকে আগত শেখ তাওহিদুর রহমান মুক্ত, মধুখালী উপজেলা থেকে শাহরিয়ার রনি, কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান, বাগাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান খাঁন, কামালদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওয়ালিদ হাসান মামুন, ডুমাইন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ফরিদপুর জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশিদ আলম মাসুম, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কামারখালী মছলন্দপুর ভাষানতলা কালি মন্দিরের প্রতিষ্টাতা সভাপতি এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক দানশীল স্বপন দে, ফরিদপুর জেলা পূজা উৎযাপন কমিটির উপদেষ্ঠা দেবাশীষ শিকদার, সার্বজনীন মাঝবাড়ী মহাশ^শানের কালীপূজা কমিটির প্রধান সুযোগ্য উপদেষ্ঠা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার সাহা, হরিদাস শিকদার, দীপক কুমার সাহা, কামারখালী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা পরমানন্দ বিশ্বাস, ৯নং ওয়ার্ডের ইউ.পি. সদস্য নুরুল ইসলাম মল্লিক, কামারখালী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তরুন কুমার চৌধুরী , নিরানঞ্জন কুমার সাহা, কামারখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাফর আলী মোল্যা, আড়পাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান বাবু, কামারখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান চৌধুরী টার্গেট, কামারখালী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি রোকন মিয়া জয়বাংলা, পূজা কমিটির সাধারন সম্পাদক অতুল কুমার দাস, কামারখালী কলেজ ছাত্র-সংসদের সাবেক সভাপতি নাজমুল খাঁন, সহ-সাধারন সম্পাদক মানিক সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল কুমার বিশ্বাস, আড়পাড়া ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিদুৎ শিকদার, কামারখালী ইউনিয়নের সমাজসেবক উজ্জল কুমার বকসি, কামারখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক দুলাল কুমার মিত্র, কার্ত্তিক মিত্র, পরিতোষ বিশ^াস, বিশ^জিৎ কুমার সিংহ, উপজেলা থেকে ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হুমায়ন রানা, মধুখালী উপজেলা যুবলীগের বিল্লাল হোসেন, ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মুরাদ বিশ্বাস। এ ছাড়া আড়পাড়া ও কামারখালী রইচ, ও ফারুক সহ আড়পাড়া , কামারখালী এবং বাগাট ইউনিয়নের সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রমুখ। পরিশেষে শনিবার প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে রক্ষা মায়ের কালী পূজা ও মেলা শেষ করা হয়।