দীর্ঘ ২০ বিশ বছর পর ঘোষণা করা হয়েছিল ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। অথচ শেষ বেলায় এসে মাত্র এক দিন আগে স্থগিত হয়ে গেছে তা। এতে ভাটা পড়েছে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের উৎসাহ-আনন্দে।
৩০ নভেম্বর ভালুকা সরকারি কলেজ মাঠে এ সম্মেলন হওয়ার দিন ধার্য ছিল। এ উপলক্ষে পদপ্রত্যাশীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ভরে যায় ভালুকার রাস্তাঘাট।
নেতাকর্মীদের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। দোকান ও চায়ের স্টলসহ সর্বত্র আলোচনায় সরগরম ছিল কারা আসছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
নেতাকর্মীদের দাবি, শেষ মুহূর্তে সম্মেলন স্থগিত করায় দল হিসেবে ভালুকা আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ভালুকা আওয়ামী লীগের চলমান কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০০৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ২০ বছর আগের ওই ৭৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনেকেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে।
উপজেলা ও কয়েকটি ইউনিয়নে সভাপতির দায়িত্ব চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। চলতি সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায়।
বিলবোর্ড, ফেস্টুন এবং ব্যানার টানিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন দলীয় পদপ্রত্যাশীরা, বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। সম্মেলনে আগত জাতীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে শতাধিক তোরণ নির্মিত হয় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে।
শিল্পাঞ্চল খ্যাত ভালুকা উপজেলা নানা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও এই আসনে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য থাকায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা তুমুল পর্যায়ে। কিন্তু শেষ বেলায় সম্মেলনের এক দিন আগে তা স্থগিত করায় নেতাকর্মীদের মনে প্রবল আঘাত হয়ে এসেছে তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতা এ প্রতিবেদককে জানান, শেষ মুহূর্তে সম্মেলন স্থগিত করায় দল হিসেবে ভালুকার আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কমিটিতে ত্যাগী নেতারা বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবিষয়ে সিনিয়র নেত্রীবৃন্দের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।