ফ্রান্সে পারিবারিক পুনর্মিলন পদ্ধতি সহজ করার জন্য আন্দোলন করা হয়েছে। এই আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের বিভিন্ন সংগঠনের মানুষ। আন্দোলনটি করা হয়েছে ফ্রান্সের সরকারের অনুমতি নিয়ে।
এই আন্দোলনকে সম্মর্থন করেন ফ্রান্সের রাজনৈতিক দল ফ্রান্স কমিউনিটি পার্টি এবং আরো উপস্থিত ছিল অনেক বাংলাদেশী ভাই এবং বোন আর উপস্থিত ছিল ফ্রান্সের অনেক এসোসিয়েশন
উপস্থিত ছিল আনজুমান সিসকো (প্যারিস ১৮র কাউন্সিলর), মারি ফ্রান্স (La cimade এর ইলে দে ফ্রান্সে সেক্রেটারি), উবায়দুল্লাহ কয়েস (AISA এর সভাপতি), মেলিন এসক্রিহুয়েলা (ফ্রান্সের সাংবাদিক), এলিস।
এই আন্দোলনে আরো ছিল এই আন্দোলনের যে এসোসিয়েশন ডাক দিয়েছিল SAF এর সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক: জুলহাস, মামুন, মনি বিশ্বাস, সাইন আহমদ, আতিক রহমান,আনোয়ার হোসাইন ফয়সাল, সাদ মাহবুর রহমান, হাসান আলমগীর, তানজিম আহমেদ, চম্পা রানী পল, শাহিনুর এলাম তালুকদার, Solidarités Asie France (SAF) ফ্রান্সের বুকে এশিয়ার বসবাস গড়ে তুলছে নয়ন এনকে। ফরাসী সরকারের অনুমোদন প্রাপ্ত এবং রেজিস্ট্রেশন করা এসোসিয়েশন। Solidarités Asie France একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও ভ্রাতৃত্বমূলক এসোসিয়েশন যা এশিয়ার অন্যান্য দেশের (বাংলাদেশ; চীন; পাকিস্তান; ভারত; আফগানিস্তান; কম্বোডিয়া; মায়ানমার (বার্মা), তিব্বত …) মানুষদের সাথে এই এসোসিয়েশনটি করেছেন।
আমরা সকলেই জানি যে, ফ্রান্স একটি মানবিক আদর্শ চর্চার দেশ। এদেশে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে নানা কারনে মানুষ এসে বসবাস করে। এদেশে নিয়মিত অভিবাসীরা তাদের পরিবারকে কাছে পেতে স্ব স্ব দেশেস্থ ফরাসী দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশী আবেদনকারীও রয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছিলো, বিদেশে ফরাসী দূতাবাসগুলো পরিবার পুনর্মিলনীর ভিসা প্রদানে দীর্ঘ সময় নেয় এবং নানা অজুহাতে ভিসা আবেদন নামঞ্জুর করে! এইক্ষেত্রে ফ্রান্সে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের পরিবার ভিসাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অযৌক্তিক হয়রানীর শিকার হয়।
এর পরে SAF এর প্রেসিডেন্ট, নয়ন নক তার প্রানপ্রিয় বাংলাদেশী ভাই-বোনদের এই সমস্যা নিয়ে তার (La France Insoumise) দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং ফরাসী সংসদের সদস্য Daniele Obono এর সাথে বিস্তারিত আলাপ করেন এবং তাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশী পরিবারগুলো ‘পুনঃ একত্রীকরণ’ ও ‘পুনর্মিলনী’ ভিসা আবেদনকারীদের ২ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে। এব্যাপারে ফরাসী সাংসদ সদস্য Daniele Obono এই পরিস্থিতির সাথে সংহতি প্রকাশ করেন এবং ২১ জানুয়ারি ২০২১ তিনি বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে ফরাসী দূতাবাসে একটি চিঠি লিখেন আপনাদের সমস্যা উল্লেখ করে। এবং কিছু দিন পরে থেকে তার লেটার অনেক ভালো রেজাল্ট পাওয়া গিয়েছে কারণ ইতি মধ্যে অনেকের পরিবার ভিসা পেয়েছে।
কিন্তু আবার দেখ গিয়েছিল অনেক ভাই বোনেরা অপেক্ষায় রয়েছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে Solidarités Asie France সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই বিষয় নিয়ে একটি আন্দোলন ডাক দিবে এবং আজ, ২৭ নভেম্বর ২০২২, আন্দোলনে ডাক দিয়েছিল যেখানে ফ্রান্সের অনেক এসোসিয়েশনও যুক্ত হয়েছিল!
এই আন্দোলনের সফল করার জন্য অনেকেই যুক্ত হয়েছিল৷ পারিবারিক পুনর্মিলন জন্য আবেদন করছে তারা ঘরে বসে ছিল না তারা নেমে ছিল রাস্তায় তাদের অধিকার আদায় করতে। ফ্রান্সের সরকারের দৃষ্টি করার জন্যে এবং ভিসা না পাওয়া পরিবারের পাশে থাকার জন্যে এই ধরণের আন্দোলন আরো করা হবে প্রয়োজন হলে।
তাদের মনে ছিল, আছে যে ফ্রান্সে তাদের পরিবার আনার ব্যপারটি তাদের অধিকার, কোন করুনা নয়।
শুধু বাংলাদেশিদের এই সমস্যা নয় এটি সবারই প্রব্লেম তাই সব দেশের মানুষদের জন্য এই আন্দোলন হয়েছে ।