মৎস্য ভান্ডার খ্যাত ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার খাল-বিল ও নদীর পানি কমতে শুরু করার সাথে সাথে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে দেশী নানা প্রজাতির দেশীয় মাছ। এ ছাড়া পুকুর ছ্যাচা মাছে ভরপুর এই কামারখালী আড়ত। ফলে উপজেলার দেশী মাছে ভরে উঠেছে কামারখালী আড়ত। আড়তটি কামারখালী-মাগুরা বাসষ্টান্ডের কামারখালী ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ডানপাশে রাস্তার সাথে কামারখালীতে। তাই হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে টেংরা, বাতাসি, কৈ, বাম, বোয়াল, আইড়, পাবদা, শোল, খলিশা, সরপুঁটি, গচি, শিং, রুই, কাতল, মৃগেলসহ ৩০ থেকে ৪০ প্রজাতির দেশী মাছ। দাম কোথাও একটু বেশি আবার কোথাও কম। প্রতিদিন কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে সকাল ১০টা পর্যন্ত চলছে এ বেচাকেনা। বিভিন্ন জাতের দেশী মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকাররা। প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা চলে কেনাবেচা। খালে, বিলে, নদীতে দেশী মাছ ধরা পড়ায় জমে উঠেছে মাছের আড়তগুলো। বেশির ভাগ মাছ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কামারখালী মাছ বাজার সমিতির মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ আড়তে আনতে পারছেন। এই ঐতিহ্যবাহী কামারখালী আড়ত থেকে দেশের পশ্চিম , উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল, বিভিন্ন এলাকায় মাছ সরবরাহ করা হয়। আর এই কামারখালী আড়তে যে সকল আড়তদার আছেন এর মধ্যে বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.সালাম মন্ডল এর আড়তে ভালো এবং সব ধরনের দেশী মাছ পাওয়া যায় এবং দামেও ভালে।