ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় মোট ২৭ টি ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ১৬ টি ইটভাটা রয়েছে। এ সকল ইট ভাটাগুলোতে ইতোমধ্যে কাঁচা ইট তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন । ভাটা মালিকরা ইট পোড়াতে প্রশাসনের অনুমতি পাচ্ছেনা এ নিয়ে চলছে দরকষাকষি। জানা যায়, প্রতি বছর আগুন জ্বালানো মৌসুম এলেই ভাটা মালিকদের সাথে প্রশাসনের চলে দফায় দফায় বৈঠক। ভাটায় আগুন জ্বালানো নিয়ে চলে অনিশ্চিয়তা তার পরেও চলে ভাটা। আবার সে ভাটার ইট দিয়ে উন্নয়ন মুলক কাজ হয় সরকারের । ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও লালমনিরহাট- এই চার জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধের রিট করেন পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ । রিটের প্রেক্ষিতে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোন ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবেনা মর্মে নির্দেশনা জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চার জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটার তালিকা দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের মধ্যে চার জেলায় শুধু ভাটা বন্ধের বিষয়ে স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ঠুমনিয়া গ্রামের রাজিউর রহমান, ও রানীশংকৈল উপজেলার সন্ধারই গ্রামের সোহেল রানা বলেন, প্রতি বছর শুনি ভাটা বন্ধ হবে, আবার অজ্ঞাত কারনে ভাটা চালু হয়। এবার হাইকোর্টের নির্দেশনার পরেও কি ভাটা চালু হবে! এ প্রসঙ্গে ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লব মুঠোফোনে বলেন, হাইকোর্টের রিটের বিষয়ে আপিলের প্রক্রিয়া চলছে। প্রতি বছর সরকারকে ভ্যাট ট্যাস্ক দিয়ে আমরা ভাটা পরিচালনা করে আসছি। এবার ভাটা চালু না হলে রানীশংকৈল উপজেলার ১২ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভাটার মালিক আব্দুস সামাদ বলেন, এবার ভাটা চালু না হলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৪ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়।ে তিনি আরো বলেন, ডলার সংকটের কারণে এবার কয়লা কেনা মুশকিল হয়ে পড়েছে। রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন, ইটভাটা বন্ধের হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। আদালতের বাইরে আমরা কোন মন্তব্য করতে পারিনা। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল কুমার বলেন, ইটভাটা বন্ধের হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে । আদালতের বাইরে আমরা কোন মন্তব্য করতে পারিনা । ভাটা সংশ্লিষ্ট কোন মানবিক বিষয় থাকলে এটাও আদালত নিধার্রণ করবেন।