কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, বিগত ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর যে ভোট চুরি হয়েছিল তারচেয়ে বেশী ভোট চুরি হয়েছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে। তাই এখন আর আমি ‘৯৯ সালের ভোট চুরির কথা বলতে চাই না। বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে সখিপুর ডাক বাংলো চত্বরে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এ সব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন আবু হেনা সাহেব মেরুদন্ড ওয়ালা নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। আর বর্তমান যারা নির্বাচন কমিশনার হয় তাঁরা হলেন মেয়েও না ছেলেও না, মেরুদন্ডহীন লোক।
১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের জাতীয় সংসদ উপনির্বাচনে সরকার কর্তৃক জনগণের ভোটের অধিকার হরণের প্রতিবাদে বুধবার টাঙ্গাইলের সখীপুরে জনসভা করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।
এ জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন যাবত শুনছি বন বিভাগ নোটিশ দিয়েছে বাড়িঘর ছেড়ে দিতে হবে। এসব জমিতে রয়েছে মা-বাবার কবর, বাড়ি-ঘর ও ফসল আবাদের জায়গা।
তিনি বন বনবিভাগকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এক ইঞ্চি জমির মধ্যে যদি বন বিভাগ মাতব্বরি করতে যায় তাহলে আমাকে খবর দিবেন। তাদের (বন বিভাগের লোক) সখীপুর থেকে বের করে দেওয়া হবে।
আব্দুস ছবুর খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, যুগ্ম সাধারণ ইকবাল সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী,টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, দুলাল মাস্টার, আলমগীর সিদ্দিকী, আশিক জাহাঙ্গীর, আবু জাহিদ রিপন প্রমুখ।