
বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশের দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকিমউজ্জামান ও সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাবিবুর রহমান। এই ঘটনায় বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের আহাম্মদ আলী (৪০), তার ভাই মোহাম্মাদ আলী (৫০), মোহর আলী (৫৮), ভাতিজা আব্দুর রশিদ (২৮), রেজাউল করিম (২০), মেয়ে আকলিমা খাতুন (১৯) ও স্ত্রী বুলি খাতুন (৪০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার খানপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আর এই গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে তাকে ধরতে গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা অভিযান চালান। একপর্যায়ে বসতবাড়ি থেকে আহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
কিন্তু এই গ্রেফতারের খবর পেয়ে আহাম্মদ আলীর স্বজনরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এমনকি পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। পরবর্তীতে ঘটনাটির খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃত আসামিসহ পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লাল মিয়া জানান, এই ঘটনায় বেআইনী জনতা দলবদ্ধ হয়ে পুলিশের আইনসঙ্গত সরকারি কর্তব্য পালনে বাধাদান পূর্বক আক্রমণ ও অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে। আসামি ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং পুলিশকে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করার অপরাধে আহত পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) মুকিমউজ্জামান বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সেই মামলায় বুধবার বিকেলেই তাদেরকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।