রাজধানীর দক্ষিণখানে ওএমএসের চাল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। রাতের আধারে ওএমএসের বস্তা ভর্তি চাল ও আটা অল্প দামে কিনে খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ আছে একাধিক ডিলারের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত সোমবার রাত নয়টার দিকে দক্ষিণখান আনোয়ার বাগ মসজিদ সংলগ্ন সাতক্ষীরা রাইচ এজেন্সির গোডাউনে ওএমএসের চাল ও আটা ভর্তি বস্তা অবৈধভাবে বিক্রির খবর পায় স্থানীয়রা। এসময় এলাকার স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষনিক দক্ষিণখান থানার এস আই রেজিয়ার নেতৃত্তে সাতক্ষীরা রাইচ এজেন্সির মালিকসহ মোট ৯৭ বস্তা চাল ও আটাসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এবিষয়ে ২১ তারিখ মোঙ্গলবার দক্ষিণথানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর-৩০। মামলার এজাহারে ১। মাহাতাব উদ্দিন (৪৫), পিতা-মৃত আরশাদ আলী। এবং ২। মো: সানাউল্লাহ(৬৫) পিতা-মৃত নাছির উদ্দিন আসামী দেখানো হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয় ৮৭ বস্তা ভর্তি চাল ও দশ বস্তা ভর্তি আটাসহ একজনকে আটক করা হয় অপর ২ নং আসামি সানাউল্লাহকে পলাতক দেকানো হয়। অনুসন্ধান মতে এর আগেও উত্তরখান মাজার সংলগ্ন থানা রোডে অবস্থিত মোর্শারফ ডিলারের দোকান থেকে রাতের আধাঁরে বিদ্যুত চালিত ইজিবাইক সংযোগে চাল ও আটা খোলা বাজারে বিক্রির তথ্য এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। সরেজমিনে গেলে চোখে পড়ে মোর্শারফ ডিলারের সামনের চিত্র, উপস্থিত কয়েকশত ক্রেতা সাধারণ। সরকারি নির্ধারিত ন্যয্য বেধে দেয়া মুল্যে মূল্যে ওএমএসের চাল সংগ্রহের উদ্যেশ্যে ভোর ছয়টা থেকে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মেলে না। নির্দিষ্ট চাল ও আটা বিক্রির কথা থাকলেও দিনের বেলা সামান্য কিছু ক্রেতার নিকট হতে জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহের মাধ্যমে যথা সামান্য বিক্রি করে বাকিটা খোলা বাজারে নিয়মিত বিক্রি করে আসছে এ চক্রটি অভিযোগ স্থানীয়দের। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন বলেন, এরাতো রাতে দুইবার চাল আটা গাড়িতে করে বিক্রি করে। আমরা দেখি কন্তু কি করবো। নেতারা তাদের পকেটে। কেউ কিছু বলতে গেলে উল্টা বিপদে পড়তে হয়। অসহায় ক্রেতা সাধারন অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আমরা আটা পাই না। কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘুরছি। যারা তাঁর পরিচিত তাদেরকে দেয়। বাকি টা আন্ধকারে বেইচ্চা দেয়। আভিযোগ করে আরো বলে, রাত দুইটা থেকে ইটা দিয়ে সিরিয়াল দিয়ে রাখে কয়কজন। ভোর ৫টা বাজে আসলেও লম্বা সিরিয়াল পেতে হয়। তার পরেও আসি কিন্তু বেলা শেষে যখন পাই না, থাকতেও বলে শেষ হয়ে গেছে। তখন খালি হাতে ফিরে যেতে হয়। আরো বিস্তারিত আসছে পরবর্তী সংখ্যায়।