
শেরপুরে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পথচারীসহ অর্ধশত নেতা-কর্মী আহত হয়। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে অন্তত ২০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। জানা যায়, ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় বিএনপি কর্মী নিহত ও হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বেলা আড়াই টার দিকে শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও শেরপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের বাসা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এ সময় দলীয় নেতা কর্মীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ মিছিলে বাঁধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। এসময় পুলিশ মিছিলে লাঠি চার্জ করেন। ফলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশও পাল্টা টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেন। এদিকে লাঠি চার্জ ও টিয়ার সেলের আঘাতে পথচারিসহ প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। পরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে শহরের রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং আতঙ্কে বিভিন্ন দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল জানায়, অতি উৎসাহিত হয়ে পুলিশ অহেতুক লাঠি চার্জ ও গুলি চালিয়েছে। এদিকে শেরপুরের এএসপি (সদর সার্কেল) আ. হান্নান মিয়া এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে রাজি হয়নি।