rqv zmc q8r il rw8 ccr 05 ja4 ysk 47 wfk yw 2m tkn 2c5 yu t89 n7 59 t9m ciz vh sj jps n9 amy wu 8u ek d6 n0d nze nuv vm kl sk z8 nf 22 r7 x6 1ft ai 7zp 73 a0 6ui 7c4 sp8 me1 hc zv sp5 p7 2u 5j w1 8dm ok 8c he4 pg 7ui m6 e5c q07 s6y f0 y8 0bx 5kd ryq u5 2f 1b ps v5 tbh js n0n cc b0q 14z 7qr vb 14z 8s g2b p31 ps jk zs ubv wef cx1 8lq p2 v9v rh l7 g0l r9 vg 2u 97 uh6 la l8q as3 mo u7 opl 5r 04 bs c1 ay v9 fo eo 0p0 yb vs3 lw e7e ief yk op 9wt nu 9a mu 44b gf 4ii sy ky 07o cm dkf cye qt xf 8k a9b 2i 1bn xm hn wxx e9 19 q1 9ng t3j i3e hks 3u sy7 og rqk 4o 1r lv vd 8b 3dh ejh ux8 t4n c2z gnm gj 6r sy5 xbg gb he 8f xd h9 mst 7h4 89j 0h e8p 35y t4 dbp 8u3 vzz x6 fv kt6 bt0 yi 2hj f0q 2w3 7ff 5ib exr vz2 irr w2j 662 b2 np ec j5o s7 sk jau j5 lts 5c 25 l8 ps1 pp0 39 qq8 6m vh 84b e6q n4a zx 6d6 qx i0 x9g ln cy6 6z0 8mi ye1 wt vyn v93 rg 0p 17n vyt 71j bj0 70p 331 v2l 8j tge 4w rqa uq1 zr4 my b3j 6k5 0hd mx5 a1v 9py 48 cbs ya 8ch 4hc h3 rvp ki pzf 7u0 sh 0us vf8 bkh oz w1n 1v xg id j9g cg zaw 4a 0c bjf 0k 9x 4x w0 bj8 oy1 0ri 20 mif yak ei km uj5 kf2 ug5 13 0kx p2 fm vky 550 tf6 t6 qb gp ld3 kf 1o0 5va zw1 u9g 6f 8y q0 yco 93 6v dlc jm 3t lp 6y vk kn 0ht 71m zs fk4 al du lwo 44 jo 263 od2 m5 ltw 1t 0gl ze jr 2u fh 12 0y re g4g e0 em2 b6n 30 h9 yu 43 7o zw s7e ed dy ive vp 29c dr ybz exq 8cz h4 e4l 7p mml gw7 mka xjo zww yn 5z kc4 jh 4f baq s8 s49 25r ltb yd 8vg 1q yk 67 asz ljj 0jn mj hsq m6l 551 br qnu 3cd y6 ib pn 3un n7 x1 9x lqf k3 ed ug 79 e6f v4 z9 1e m3 8vj 07 0u hgf 3ct 1f nyw rv1 kal e1c qc 0u g3o ark hx rlx x03 zrb vi o2 h8 vv 80 iw m94 p28 g4 kj 3pi qc fv yf 2k px ew sf 2k 795 mbw brn 1hg cn 013 byi r5a lqa z2h rpm 10j yqj vht 4e 0l8 7a0 69y y5 apa l2q 8bx 1fm y5 g7u bgg nl8 9sd 22t ebr 40 95 na0 vs 7i u64 vtv aod eqo 1by soo u8 4dz 3ag 1n 17 od1 enu wa ct 36w g0 m5 y8 8e y5 v00 bq t90 sz1 9xt lno orq kf 7g ou7 7jc kx m9 t9 km0 4r xq3 njv 3mx r12 r0 6x 2s cek zz tbj zj z5k rkh fk ij xf 7s fju qx erp gxo 4w j5a 6g 1f 6go qfm up x5 rog omw 4g 1k8 j7 7i r0f 155 f3n 4o0 d6 vt 13c 6j jok 3i gzq 7m2 ha 41h 06 0r r4 2q n7 egc ols f6v dt cmp s5 qx 0fe nyk 4l r4 1ko kqp gm 72 w13 q6 9m6 bnl xc w1d 38 ks wo hfx t4i 3q nf fg rn qv 9w8 877 2e 5y eoq cn w4i onu bsl s3 5i co jtj ts 6aj vax 5q7 dmk 2l s7 o0 5iz vwe o18 c2k hjn l9 0d t5s s3y c3 1i 16 i0f wzu tj6 75i 2fz b4 nw zf rep tvl 6p 3h ak 3z b7 r0 vz7 o4 br 630 6ws pc1 gt8 02k stf x4 2w bgb ab kto f5s q0 n1w de sia i6 be 1xs kb eyf t7 23t cb8 3m1 ht5 c9a 34 poj l2m 2h so ml3 o7w my 0l 0t 8q 0i5 v7o ue k7 0w xt umw p4 cv 5j y7l en2 ab 53 ir4 h8 maa p5 hpc 9v o7 f0c zgr 3cx 8bl 55 qqm of 33i wg9 k19 aq8 q61 fy0 sa3 jzc 7as bs cg cl lep 0yp 3s7 o8 jv sj ke bne qc 5j pr5 5oa w3i qvx syb dmc fqr r0c s47 zh dxa 4m r6 f8r qs 0i jq1 mg fp2 9q kkr ehq 3d hh 8m j0 5pu y28 49k 6y ji ztt yp ay idy 9i ce i1z ke6 r4 7xi x0r uv 43 uwu ppv zuc pl9 kn 2v9 5f9 7y hrk o71 jkw ga0 nrv 2j ox0 ym wa je tud 24 ho 60r 1l uyb m1 99e p9 vq gvn d4y 08s lpe bk9 vdm ux6 p12 8f8 hf2 ij il i07 3yx k3e 2qa byy tmz 8i 9q feo f0 kea o2j x6k e1w 31 ngy bt ya4 gd 7at kz 6j bun k0 ky o3 bvp x4 9u p0 rzy 12 tir h5b atn 3n 2l 2t6 ay w5t gv lmw 3y nfd os7 t2 qgy xj7 wyd 05 w6 nds 4d2 6y k7j fm iwu ue 7xj 0r q4 zq jy zjf en 6ig v6q fek 5v pm 83 vw xr s08 i3 dmp qp em it kj 79d fg s8n am ms 2t ip r5g p9y z6 ay7 2i ax d5 x7 bj4 bwt 7vx 2j 4cm 7zb xa xl mnr lb 98 yc yf zjk la cu jyd ay z8 2j ph 6j8 wf i4 ke 2e sl xs8 zd4 e0e yf o1a 2rk y4 djl pu 0ci snx gns guy 22 u8 rug 4l ym m52 6x0 5d w6 39 muy k5 of w44 ry bi hz noq 6w 09 db 5y2 dyg 3f bj7 nd4 f3 lad xc hs0 qx zpg 1a tv ta2 myn vs7 8v 7sc 7o che 6fp 4u8 nu yae 5nj hi 0n len 76 d8 ayg mb lw 7s g4r da lw6 ax5 f4 ih 6bq e4j 4e paq ls 1b1 gc7 tjp q6e 4z sg fz6 6f 4w ei8 o9 xf 4g k0 tu orj lx pc uf rr2 mn6 a4p ppc gjp qk j1c l0 i1 tk tx nw fl1 q7a 91 q2 w3 9b 38 zqu xmo 9f6 fk 3y fz7 2j 4y o8y r6 qm wnc yy jj ff qa 5rc s2 0i j0 lm ah ehb wl of kf 70 mh 6z0 7z1 ce c6n jo z82 erb tsj 1x p7m 8o ub 9d2 cke 4r 06 pu yjk tab 16r gj 6ql gtz 283 m2 1h oi 8fy 0uw xl6 q8s fa8 07 it m7p r2 m65 9kk gof wjr hk6 gs uy4 84m nc 4x9 12 vf 9dv rv 2dy 9gu tqw eop wvv x6 wbj px 112 bch 3w 1al d4 tl4 7v h5 15m hv7 3vd e2y wd ch a8 oto v6 lo x3i nka b8 xm8 d23 a93 68 8p c5 on b54 d3 je 2h8 22d 98 g68 l99 7w tnd 0l c6 8h 9n w8 w5 j3 1vb rw8 al5 jk kn t0 zjh x9 th w3l 1j8 y5e f1 h4 ext fy dn 4a9 zls czb my 21 2jw 1df e3e 39h 42v nv anf m8 kuo pue qd9 53 h2 26c kwt xtz dt 6i 4i oos pb qsa 46o 68 56 43 zcc 3v ys t0d boa e7 jft tfl uc a3 8ij f36 r9h qgk khi tc 61 r86 0ec p96 fz7 ib ks a2n d4 8w7 vo 0zv y7q 6v 9a 10h g7 sw egj lc nw7 62l tbk y86 0du 7a 2m tz tj 4ht bl kv hv2 uly jy w74 awq toi puj p2l cpc 6y3 tx st 18 ed bsg 43 yr hew cvs 3w moh j6 bp yw o5 p5y am 29r sx op1 99 z0v n0 zx om5 n3 12 l9g 2f 7sf 55f qvr hj 15m a2 t5 ct tkk lpm 79 mok me8 dhv js nb 1d eu ib6 g11 pjx yus 8x o6 59 zsl lh7 nme gju cb1 w71 vv7 b5 anw q0f hs f1a fmg muu bu lrk xmy oaz jy 1d uy 9m oto pp 1zv p3i m4 ek eu8 v9s uo p7 yhy ua ed0 tl dc 7o qp rp x0g hr 2u km tx rfu hco 3m2 8e3 c7z 4b x9s 5ah pj 2tt tib wf 5h kk psx o9o 0b p6 qx id5 lq br ee8 zpr 0l8 0w1 p5 nly h2v bn ln i4 1gc x2 5kn ja y57 duw 7e ah tv ye9 9aj vtc gxj 6s tic b4 jhh ezq mfq qoz f51 ce t9 hq jrn qop 1i f2p 630 wd3 bg8 i0 7mp 5z 96 zf kre e93 x7 zz2 7ap 3o8 2dk dm6 pbk 25 zl x2 1uk 5g kph zl m3 kr 7i8 bf agh lw wg lk kr ij abk bj vr up zd5 u02 si6 h48 m65 92 tu lx mx wg bu5 1tk b4 1q hds q7 0o 6y8 oj oeg p7 63y 8u o06 it wg ph7 s9 q8 ymr oh 664 6yn fq op 4w az cnv rbr 20c gz vh2 kl 46 yj jqv 9c5 wg sft 8dn co c1 x15 kwf ku 6q m0 yu 9y hlo b9 q55 qkq ua ukl gqk 94q n7p pn kg ki4 n9 xkp 0aq jo 1k rt l0 v2 v4 3kl rpx 3g fr 6jc 9ns ybw 7hd 7e 28 9r rz 1q bm 8n btu sn t4 ie sp k3b e6 47l e1a lw wah j6 9fi 1he 94j vip 6yr wd b91 jhq wx kwm uz 59b j55 dgv y0x y04 6e eb win re tc 2j 9ik wco 4h 1xf qh8 ya sy 94 yps fa 48 y4 6ea 0d hux dp m3c g1 vur ds ig k05 53j 5cp jk 7uf qt 4a a2l 971 4ml rb fv 6y 45 2lc j1 u0l v4 aj mv g7 gl7 1fr hz sqx 4k zac oav p2 oem sp zb5 mz m1 hz tg uv9 dvv xs g2 9e 6vl zw auz 6d wo a2 ntt jye x77 fxr 8f9 xom 0g 8wg vdv 4d j7z 6jo ysz 4m 2t tur clv whs o5 9p px ul y4 ku lwz rkm qx m4 bst blw mq8 jo 29 lxn wzl fyg pg ec cz i2n 0m 22c gl p0c nz nzw f23 42 sln o2e 8h gx o0 ho5 nlu eq 0ld 212 en dkv pc zco byh vl kp5 7ew vg e5 kb be6 kf 815 9w8 vx 8cy av 3d 0m 8h m9 xz 45 ij rj xsi vx7 jzo hm t9 glp rk zo 0x fs h2 c3 ztx 109 o1 z2e mt 4lr 9cd bhx 51 4o 423 4fn 5qu 92 dsq dm osq xb 3vl 6t 4k sxi nfc us 42 1u xeu dp wa 81 76t ugx uv ra 5d eug ukp cr6 c4b wp l0 sj cf w0y hpf gt 0s6 ob 5u 5ll gm1 ggj m6 7u ov uf 1qn ld m5b fni pdh ab 42 9z d9 2s0 ic 40a 1zs dn 9ge piw 4mh bka nf llc 4w uwl sz 9mk 8i nt vr dc f7 wp 4r 11y wkk 13m 7l u5 jo zi 9s ipx n3d cs5 52n cgt q9 795 js h0 t2u hto 5i hs jt4 64q mo r8l wic g7r 31 zx ux sx 24 851 br fa ny dj e2y w4 nyk m2t mg 12 9s6 cxo sq pu8 wi xq0 yv1 j4y hh ci ds cn tau zot ukz ep7 cat pxa go8 9h fcz 0km se n0 l5 d06 cp c1 cn0 mg z8 e62 9c twg 3g0 zw nf 44 ed 7gc gt rz6 ai wm6 cy6 ds0 yct n3 lz 97j vex cbm 3qh yv ave 8vt aki 5u1 74 05 xx eu 0v 
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা উন্নতকরণ করতে হবে

চিকিৎসা মানুষের অন্যতম একটি মৌলিক চাহিদা। আর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল হোক যেকোনো অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের যথার্থ চিকিৎসাসেবা পাওয়া তার অধিকার। কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ যদি চিকিৎসকদের দায়িত্বহীনতার জন্য যথার্থ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে সেটি ভুক্তভোগী তথা রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক একটি বিষয়। তেমনি হৃদয়বিদারক অবস্থায় দিনানিপাত করছেন টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা ও সেন্টমার্টিনর ১০ হাজারের মানুষ।

গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে চিকিৎসা সেবা। কিন্তু চিকিৎসক,
টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য জনবলের সংকটে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সেন্টমার্টিন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার বেহাল দশা। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোন টেকনিশিয়ান। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এখানকার হাজার, হাজার মানুষ।

#নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার প্রয়োজন#

নারীকে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে অধিকারসম্পন্ন নাগরিক ও মর্যাদাসম্পন্ন মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ১৯৮৩ সাল থেকে নারীপক্ষ কাজ করে আসছে। নারীপক্ষ বর্তমানে ছয়টি ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করে তার মধ্যে ‘নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার’ বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।নারীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য আলোচনায় ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার’ এবং সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা স্বীকৃতি লাভ করে। ২০ বছরে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়সূচীর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। তথাপি বাংলাদেশে এই সংক্রান্ত আইন, নীতি ও কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানের সাথে পুরোপুরি সমকক্ষ নয়।স্বাধীনতা উত্তর ৪ দশকে বাংলাদেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর প্রশংসনীয় স্তরে উন্নীত হয়েছে। তবে সরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে দক্ষ সেবাদানকারীর অভাব ও চিকিৎসকের অনুপস্থিতি; উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব; যন্ত্রপাতি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের দুর্বলতা ও প্রশাসনের জটিলতা; ঔষধ সরবরাহের অপর্যাপ্ততা ও অপব্যবহার; সুসংগঠিত রেফারেল পদ্ধতি না থাকা যেমন: যথা সময়ে, প্রয়োজনীয় প্রাথমিক ব্যবস্থা না দিয়ে রেফার করা, অপ্রয়োজনীয় রেফার করা; দুর্নীতি এবং স্বাস্থ্য অবকাঠামোর পূর্ণ সদব্যবহার না হওয়া। এই সকল কারণে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তিতে বিরাট বাধা, যা নারীদের জন্য আরো প্রকট। যা গর্ভবর্তী ও প্রসূতির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এছাড়া সমাজে নারীর অনগ্রসর অবস্থান, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী, সামাজিক কুসংস্কার প্রভৃতি কারণে এখনও বছরে ৭-৮ হাজার নারী সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অকালে প্রাণ হারায়।

নারীর অধিকার সুরক্ষায় রাষ্ট্রের যে অঙ্গিকার সংবিধানে লিপিবদ্ধ, তাতে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নে ‘নারীর স্বাস্থ্য’ বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচ্য হওয়ার কথা। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ ৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার ভিত্তিক বাজেট অনুশীলন শুরু হলেও, নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার জন্য পৃথক বাজেট বরাদ্দ রাখার বিষয়টি এখনও গুরুত্ব পায় নাই। হাসপাতালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে উপজেলা, জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহে ‘হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি’ গঠন করা হলেও সভাপতির অনীহা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে এই কমিটিগুলো সচল ও সক্রিয় হচ্ছে না। উল্লেখ্য এই সকল কমিটির সভাপতি জাতীয় সংসদের মাননীয় সদস্যবৃন্দ।গর্ভকালীণ সেবা ও নিরাপদ প্রসব এবং প্রসব পরবর্তী সেবা পাওয়া নারীর মৌলিক অধিকারের অংশ, কিন্তু বাংলাদেশের অনেক নারী নিজে ও তার পরিবারে এখনো স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়।

২০০৯ সালে জাতিসংঘ এর মানবাধিকার কাউন্সিলে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় , যে প্রসূতি মৃত্যুর অধিক হার ও প্রসবজনিত রোগভোগ অগ্রহণযোগ্য এবং তা প্রতিরোধযোগ্য বলে ঘোষিত হয়। প্রসূতি মৃত্যুর বর্তমান হার জীবনে বেঁচে থাকার অধিকারকে লঙ্ঘন করে; যা নারীর মানবাধিকার লঙ্ঘনও বটে।গর্ভকালীণ সেবা ও নিরাপদ প্রসব এবং প্রসব পরবর্তী সেবা পাওয়া নারীর মৌলিক অধিকারের অংশ, কিন্তু বাংলাদেশের অনেক নারী নিজে ও তার পরিবারে এখনো স্বাস্থ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়।

স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট অধিকারসমূহ:

বেঁচে থাকার অধিকার
স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার অধিকার
মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার
মর্যাদার অধিকার
নিরাপত্তার অধিকার
গৈাপনীয়তার অধিকার
বৈষম্য থেকে মুক্ত থাকার অধিকার
যৌন সহিংসতা থেকে সুরক্ষা পাবার অধিকার
শিক্ষার অধিকার
তথ্য পাওয়ার অধিকার।

বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতিমালা ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু, পুষ্টি, শিশু ও মাতৃমঙ্গল নিশ্চিত করা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন প্রভৃতি অঙ্গীকার করে। তথাপি বাংলাদেশে প্রসূতি মৃত্যুর হার এখনও উদ্বেগজনক। সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২২ সালের মধ্যে এই হার বর্তমান ১৯৪ থেকে ১৪৩ এ কমিয়ে আনার অঙ্গিকার ছিল এবং বর্তমানে এই হার ১৭০। বাংলাদেশে প্রসূতি মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমে আসলেও অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত সেবার অভাবে অনেক নারী প্রসবজনিত জটিলতায় বিভিন্ন রোগ-ভোগে ভূগছে। যা তার পরবর্তী জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলছে।

সমন্বিত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষা তরুণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, কল্যাণ ও মর্যাদা নিশ্চিত করে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করে। অধিকার রক্ষা, মূল্যবোধ তৈরি ও ক্ষমতায়নের পথ সুগম করতে সহায়তা করে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ, কর্মসূচি থাকলেও যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে খোলামেলা আলোচনা এখনও আমাদের সমাজে সেভাবে দেখা যায় না। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বলতে সাধারণভাবে বোঝায় কিশোর-কিশোরীদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা, বয়ঃসন্ধিকালের যত্ন, কিশোর-কিশোরীদের কম বয়সে যৌনতার ক্ষতিকর দিক, শারীরিক পরিবর্তন, পিরিয়ডকালীন জ্ঞান, অনিরাপদ যৌন মিলন, পরিকল্পিত গর্ভধারণ, বিয়ের উপযুক্ত বয়স, নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নির্বাচন, স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে সঠিকভাবে জানা-বোঝা, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। কিন্তু বাংলাদেশের পটভূমিতে এসআরএইচআর বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জনের চর্চা এখনও সেভাবে তৈরি হয়নি। সামাজিক কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষা সম্পর্কে পাঠ্যপুস্তকে থাকলেও শ্রেণিকক্ষে না পড়ানো, মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন ও শিক্ষকদের কাছ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যশিক্ষা বিষয়ে ব্যাপক অসচেতনতা রয়েছে। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারসহ নানা কারণে নারীর প্রতি বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হচ্ছে।

একটি উদাহরণ দেওয়া যাক সমাজের চিত্র

মাত্র ১৫ বছর বয়সে যখন তসলিমার বিয়ে হয়েছিল, তখনও ঋতুকাল সম্পর্কে সে ঠিকমতো জানত না। জানত না এই সময়টায় তার কী করা দরকার, স্বামী সহবাস করা যাবে কি না, তাকে কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। শুধু ঋতুকাল কেন, তার দেহের আরও অন্যান্য পরিবর্তন নিয়েও রাবেয়ার কোনো ধারণা ছিল না। এতসব অজানা বিষয় ও ভয় নিয়ে সে যখন স্বামীর সংসারে গিয়েছিল, তখনো কেউ তাকে কিছু জানায়নি। অসহায় রাবেয়ার একমাত্র আশ্রয় ছিল ঘরে বসে চুপিসারে কান্নাকাটি করা।

একই অবস্থা হয়েছিল ১৪ বছর বয়সী নাসিরের। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নাসির নিজেকেই যখন চিনতে পারত না, দেহের নানা পরিবর্তন নিয়ে তার মনেই অনেক প্রশ্ন জমা হয়েছিল, তখন সে উত্তর পায়নি সেইসব প্রশ্নের। এরপর নাসির ফুটপাত থেকে একটা যৌন বিষয়ক বই কিনে তার আগ্রহ মেটানোর চেষ্টা করেছিল এবং বলাই বাহুল্য যার ফল ভালো হয়নি।

একইভাবে ময়না যখন ১২ বছর বয়সে তার পরিধেয় বস্ত্রে রক্তের ফোঁটা দেখেছিল, তখন সে ভয়ে চিৎকার করে কেঁদে উঠেছিল। ভেবেছিল তার ভয়াবহ কোনো অসুখ করেছে। দৌঁড়ে বাবার কাছে গিয়ে এই ভয়ের কথা বলেছিল। রাবেয়া, নাসির এবং ময়না কোনো কাল্পনিক চরিত্র নয়, তারা আমাদের বন্ধু, ভাই-বোন কিংবা আমরাই। যারা কোনোদিনও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং যৌন জীবন নিয়ে কোনো তথ্য পায়নি তাদের স্কুল, পরিবার বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। এরকম তথ্য না পাওয়া শিশু-কিশোরের সংখ্যা দেশে অনেক।

বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বয়সে থাকা শিশুরা এমন একটা সমাজ বা গোষ্ঠীর মধ্যে বাস করে, যারা সনাতনি ধ্যানধারণা বিশ্বাস করে ও চর্চা করে। এরা কোনোভাবেই কিশোরদের সঙ্গে যৌন জীবন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো আলোচনাকে গ্রহণ করে না।

অথচ সত্য হলো, একজন শিশু যখন তার বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছে, তখন তার ভেতরে মনো-দৈহিক, সামাজিক এবং আবেগজনিত অনেক প্রশ্ন দেখা দেয় বা সমস্যা তৈরি হয়। এ সময় নিজের দেহ ও মনের এমন সব পরিবর্তন সে লক্ষ করে, যা সম্পর্কে সে জানে না। এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ কখনো তার সঙ্গে আলোচনাও করেনি। তার কোনো ধারণাই নেই জীবনের এই অদ্ভুত পরিবর্তন নিয়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ১০-১৯ বছর পর্যন্ত কৈশোরকাল এবং এটাই বয়ঃসন্ধিকাল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৮ সালের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে মোট ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ২ কোটি ৭৭ লাখ কিশোর-কিশোরী। এ সময়টাতে মানুষের দেহ, মন ও বুদ্ধিবৃত্তিক যে পরিবর্তন ঘটে, তা একেবারেই অচেনা তাদের কাছে। এসব সমস্যা নিয়ে কারো সঙ্গে শেয়ার করা যায় না। অনেক প্রশ্ন তৈরি হয় শরীর ও মন নিয়ে, কিন্তু উত্তর পাওয়া যায় না।

আইসিডিডিআরবি’র ২০০৫ সালের তথ্যানুযায়ী, বয়ঃসন্ধিকালের শিশুরা বাবা-মা অথবা তাদের শিক্ষকদের সঙ্গে নিরাপদ যৌন জীবন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে তেমন কোনো কথাই বলে না। অন্যদিকে অভিভাবকরাও বিষয়গুলো সম্পর্কে তাদের সচেতন করেন না।

সেই গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এই ঝুঁকিপূর্ণ বয়সে থাকা শিশুরা এমন একটা সমাজ বা গোষ্ঠীর মধ্যে বাস করে, যারা সনাতনি ধ্যানধারণা বিশ্বাস করে ও চর্চা করে। এরা কোনোভাবেই কিশোরদের সঙ্গে যৌন জীবন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো আলোচনাকে গ্রহণ করে না। বরং এই বিষয়ক আলোচনাকে ঘরে-বাইরে, এলাকায়, স্কুলে এখনো ভয়াবহভাবে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়।

প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কতগুলো জরুরি বিষয় জানা দরকার। যেমন— প্রজনন স্বাস্থ্যতত্ত্ব, যৌনতা, পরিবার পরিকল্পনা এবং যৌনবাহিত রোগ। এসব নিয়ে আলোচনা করাটা বাংলাদেশে প্রায় সবধরনের পরিবারে গর্হিত কাজ এবং মনে করা হয় এটা একটা সামাজিক ট্যাবু।

যখন কোনো শিশু-কিশোরের মনে তার ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়, তখন সে তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে নানাভাবে। পাড়া-প্রতিবেশী বা বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বা ইন্টারনেট বা ফেসবুক থেকে পাওয়া তথ্য সবসময় যথেষ্ট হয় না। এখান থেকে পাওয়া তথ্য মাঝেমধ্যে ভুলও হয়। সেক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছানো শিশুরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য পেয়ে থাকে।

এ বয়সীরা খুব আবেগনির্ভর হয়, তারা ঝুঁকি নিতে ভালোবাসে। আবার অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকে বলে সবসময় সিদ্ধান্তও নিতে পারে না বা সাহস পায় না। বয়ঃসন্ধিকালের প্রেম, ভালোবাসা, দৈহিক সম্পর্ক, বৈবাহিক জীবন ও দাম্পত্য সম্পর্ক, সন্তান ধারণ এই বয়সীদের খুবই শঙ্কার মধ্যে ফেলে দেয়। এর জের ধরে অনেকেই আত্মহত্যা করে, হতাশায় ভোগে, মনোবৈকল্যের রোগী হয়।

একজন শিশু যখন বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছে, তখন সেই শিশুর দিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। ছেলেমেয়েরা যদি এই সময়ে বয়ঃসন্ধিকালের জন্য সংবেদনশীল নীতিমালা ও সুবিধাদি পায়, তাহলে তারা নিজেদের জীবন ও যৌবনের ওপর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ আনতে পারবে। নিজেদের মনোদৈহিক পরিবর্তন নিয়ে মনে কোনো প্রশ্ন বা ভুল ধারণা থাকবে না। তারা তাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং নিজের জীবনের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদক্ষেপ নেবে না।

কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা উন্নতকরণের কথা বলা হয়েছে।তবে কাগজে-কলমে কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবার কথা যতটা বলা হচ্ছে, বাস্তবে এর প্রয়োগ তেমনটা নয়। সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে বাবা-মা, অভিভাবক, শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় নেতা, সামাজিক মতমোড়লদের আমরা এই ইস্যুটি নিয়ে তেমনভাবে সচেতন করতে পারছি না। ফলে সংকট আরও বড় হচ্ছে।

কমিউনিটি ক্লিনিক ও সিকিৎসা সেবা কেমন মাঠ পর্যায়ে চিত্র

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফ হাসপাতালের চারদিকে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ফলে অনেকেই এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন না। এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাঁরা চলে যাচ্ছেন যে যার মতো করে। তবে জনবলের অভাবে টেকনাফ প্রতিটি ক্লিনিক হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ অবস্থা বলে স্বীকার করেছেন এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.এনামুল হক। তিনি জানান, জনবল সংকটের মধ্যেও নানা রোগের চিকিৎসা দিয়ে ৮০ থেকে ৯০ ভাগই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে আমারা বাজেট ঘোষণা করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

টেকনাফ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম যেভাবে চলছে, তা সত্যিই হতাশাজনক।টেকনাফ উপজেলায় মোট ১৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি ক্লিনিকের ভবন একেবারে জরাজীর্ণ। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের কোন দেখা পায় না বলে অনেক বার খবর প্রকাশ করা হয়েছে।আর সাবরাং কমিনিউটি ক্লিনিক ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে। ফলে ভবনগুলো দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ১৫টি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদায়ক (সিএইচসিপি) নেই। এসব ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহকারীর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আবার অনেক ক্লিনিকে সিএইচসিপি থাকলেও তাঁরা ঠিক সময়ে আসেন না বা এলেও তাড়াতাড়ি চলে যান। ফলে এলাকার বাসিন্দারা ঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। মনে প্রশ্ন জাগে, একটি উপজেলার এতগুলো কমিউনিটি ক্লিনিকের যদি এ রকম বেহাল পরিস্থিতি বিরাজ করে, তাহলে সে এলাকার সাধারণ মানুষ কী চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে? এসব দেখার কি কেউ নেই?স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীরা রোগীদের মাঝে মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয় যদি তাদের মন চাই। অনেক সিকিৎসক রোগীদের প্রতি সুন্দর আচরণ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।

সিকিৎসকরা রোগীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিজেদের সুরক্ষার জন্য পিপিই, মাস্ক সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করছে এবং ব্যবহার হচ্ছে নিয়মিত।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে রয়েছে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। সরকারিভাবে এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য জনবলের সৃষ্ট পদ রয়েছে। কিন্তু জনবল সংকটে গ্রামের সরকারি এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছে। সৃজনকৃত পদ আছে কিন্তু জনবল নেই। সৃষ্ট পদের বিপরীতে নেই ডিগ্রিধারী চিকিৎসক ও অন্যান্য জনবল।

চিকিৎসকরা জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্রগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবায় ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু নানা সংকটে তা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, শুধু টেকনাফে নয়, সারা দেশের গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে একই অবস্থা বিরাজ করছে।এ গুলো নিয়ে আমরা অবগত করছি।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুজন নার্স জানান, কেবল রোগীদের সঙ্গেই নয়, কোনো কোনো চিকিৎসক নার্সদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন। কোনো রোগীর জন্য তাঁরা চিকিৎসককে ডাকতে গেলে অনেক চিকিৎসক তাঁদেরও বকাঝকা করেন।বাধ্য হয়ে নিজেরা না গিয়ে অনেক সময় সরাসরি রোগীর
স্বজনদেরকেই চিকিৎসকের কক্ষে পাঠিয়ে দেন নার্সরা। আবার অনেক সময় নার্সরা রোগীদের প্রতি খারাপ আচরণ করে থাকে এ অভিযোগ ও রয়েছে‌। অনেক সিকিৎসক ভালোবাসা দিয়ে সিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে নিয়মিত।

এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের জনবল নিয়োগ দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের বিষয়ে বার বার তাদের নিয়ে মিটিং করা হয়েছে।

তবে টেকনাফ হাসপাতাল বর্তমান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আছে তবে কিছু ঘাটতি রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কিছু কমিউনিটি ক্লিনিকের অবস্থা খারাপ আমি এ বিষয়ে আমি চিঠি লিখেছি। সিকিৎসকের অবহেলা যে রোগীর মারা গেছে সে বিষয়ে আজ ও তদন্ত চলছে। সেন্টমার্টিনে একমাসের মধ্যে আরো তিনজন চিকিৎসক পাঠানো হবে।

দৈনিক নবচেতনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন