৫২ তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হয়েছে নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ নভেম্বর) দিবসটি উপলক্ষ্যে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্টের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, ডিপার্টমেন্ট অব সেইফটি এন্ড সিকিউরিটিজের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল গিলেস মিশউড, জাতিসংঘের মিলিটারি এডভাইজর জেনারেল বিরামে ডিওপসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ(স্থায়ী প্রতিনিধি), ও সামরিক উপদেষ্টাগণ (মিলিটারি এডভাইজর) অংশগ্রহণ করেন। এ খবর জানিয়েছেন মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ডিফেন্স এডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামান আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। এরপর উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন জাতিসংঘ নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
পরবর্তীতে স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন এবং সকলকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। এসময় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জাতিসংঘ নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষেরও বেশী নির্যাতিত নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন তাঁদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কারণেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ।
এসময় তিনি ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হওয়া মহান মুক্তিযুদ্ধে নবগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান এবং সর্বোপরি দেশের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণের উপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ যে অবদান রেখে যাচ্ছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময় তাঁরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানান।