চট্টগ্রামে হাটহাজারীতে ফের দাপিয়ে চলাচল করছে বিদ্যুৎ চালিত অবৈধ ব্যটারি রিক্সাাসড়কে বড় পরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিক্সাসহ কোন যানবাহনও মানছে না।
কোনরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই উপজেলাতে কয়েক শত যুবক এমনকি কিশোরের হাতে ব্যাটারিচালিত রিকশা তুলে দিয়েছে অসাধু মালিকরা। মালিকের দৈনিক ভাড়া জোগাড় করতে গলদগর্ম তাই এইসব চালকরা নিয়ন্ত্রণের কথা না ভেবে যত দ্রুত সম্ভব একের পর এক ভাড়া মারতে প্রায় পাগলের মত ছুটে চলে।
ফলে প্রতিদিন ঘটাচ্ছে মারাত্মক দুর্ঘটনা কখনো পথচারীর উপর কখনো বাস-ট্রাক সিএনজি পিছনে ধাক্কা খেয়ে চালক যাত্রী দুজনে মারাত্মক আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে নিহত ও পঙ্গু হচ্ছে অনেকেই।
এসব রিক্সা পৌরসভাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বেশি চোখে পড়ে তবে এসব রিক্সার কোন লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স বিহীন এইসব ব্যাটারিচালিত রিক্সা নির্দ্বিধায় চলাচল করলেও কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকি নেই।
এই অবৈধ রিক্সার বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা টাকার লোভে এইসব রিক্সা চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকেই।
আদালতের আইন অমান্য করে অবৈধভাবে ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচল করছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে আবার এইসব অবৈধ রিক্সা তৈরি কারখানা রয়েছে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রতিটি রিক্সার তৈরির কারখানা থেকে দৈনিক একটি রিক্সা তৈরি হয়। পাশাপাশি অবৈধ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে একশ্রেণীর বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা তাদের নিজেদের পকেট ভারি করছে।
এ বিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রুহুল আমিন সবুজ জানান,আমি যোগদানের পর থেকে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি। এ বিষয়ে মহামান্য আদালতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ভবিষ্যতে আরো কঠোর অভিযান পরিচালনা করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোঃশাহিদুল আলম জানান আমাদের বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে আসছি।এটা যেখানে তৈরি হয় ঐ কারখানাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করব।
কারণ আমাদেরকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হয়।তাই সুবিধা মত সময় এই অবৈধ রিক্সা বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।