ঢাকার ধামরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে আসিফ ও ইমরান নামে দুই যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আসিফের দাদা মোঃ জয়নুদ্দিন জনু (৫৫) এগিয়ে এলে উভয় পক্ষের ধস্তাধস্তির সময় মাটিতে পরে মারা যায়।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নে পরিষদে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত জয়নুদ্দিনের বাড়ী উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের টোপেরবাড়ী গ্রামে। সে ওই গ্রামেরব মৃত মোহাম্মদ স্বপন বেপারীর ছেলে।
অভিযুক্তরা হলো কুশুরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সারোয়ার হোসেন বাবু, মোঃ রনিসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বিকাল বেলা আসিব ও ইমরানকে ডেকে ইউনিয়ন পরিষদে ভিতরে একটি কক্ষে নিয়ে বেধর মারপিট করেন ইউপি সদস্য বাবু ও রনি। এই সময় খবর পেয়ে আসিবের বাবা শুকুর আলী দৌড়ি গিয়ে জানতে চায় কি কারণে তার ছেলেকে পরিষদের ভিতরে আটকিয়ে মারধর করা হয়েছে।
এ সময় রনি মিয়া ওই শুকুর আলীকে কলার ধরে পরিষদের কক্ষে নিয়ে তাকেও মারধর করে। এরপর শুকুর আলী বাবা খবর পেয়ে পরিষদে গেলে বাবু মেম্বারকে বলে কেন অযথা তুমি আমার ছেলে ও নাতীকে রোমে আটকিয়ে মারধর করেছ। এ সময় উভয় পক্ষের ধস্তাধস্তির সময় মাটিতে পরে যায় জয়নুদ্দনি। পরের এলাকার লোকজন জয়নুদ্দিনকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এ বিষয়ে শুকুর আলী বলেন, আমাকে ও আমার ছেলেকে রনি ও বাবু মেম্বার পরিষদের কক্ষে আটকে রেখে মারধর করে।খবর পেয়ে আমার বাবা ওই ইউনিয়ন পরিষদে গেলে আমার বাবাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। আমি আইনের কাছে এর সঠিক বিচার চায়।
এ বিষয় অভিযুক্ত কুশুরা ইউনিয়নের ৪ নং ওর্য়াডরে ইউপি সদস্য মোঃ সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন,জয়নুদ্দিনকে মারধর করা হয়নি,সে অসুস্থ ছিল,হঠাৎ করে সে বুক ধরে মাটিতে পরে যায়,পরে শুনি সে মারা গেছে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।