গত বছর ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার পর এ বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনই প্রথম নির্বাচন। এ নির্বাচনে ট্রাম্পের সমর্থকেরা জো বাইডেনকে পরাস্ত করার চেষ্টা করবেন। ক্যাপিটল হিলে হামলা থেকে দৃষ্টি সরাতে ট্রাম্প বরাবর নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এই মধ্যবর্তী নির্বাচনেই বোঝা যাবে, কার হাতে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। দেশের আইনপ্রণেতা ও গভর্নর কার্যালয়ের দায়িত্ব কে সামলাবেন, সেটাও অনেকটা স্পষ্ট হবে এই নির্বাচনে। আবার এই নির্বাচনেই ভোটাররা দেশের নেতৃত্ব ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে মতপ্রকাশের সুযোগ পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়া, অনথিভুক্ত অভিবাসন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চাপে ফেলতে পারে।
।
যুক্তরাষ্ট্রের গতবারের পরাজিত প্রেসিডেন্টদের মতো ট্রাম্প নীরবে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াননি। তিনি এখনো ২০২৪ সালের নির্বাচনে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার আগ্রহ পোষণ করছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেশ কয়েকজন সিনেট প্রার্থীকে তুলে এনেছেন।
মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্পের অবস্থান শক্তিশালী হতে পারে। আবার এই নির্বাচনের ফলে ট্রাম্প একেবারে হতাশও হতে পারেন। ট্রাম্প সরাসরি ভোটে না থাকলেও তার পছন্দের বেশ কয়েকজন ক্ষমতাধর প্রার্থী মার্কিন নির্বাচনের দৌড়ে মাঠে নেমেছেন।
এর মধ্যে রয়েছেন জর্জিয়ার সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় হারশেল ওয়ালকার, পেনসিলভানিয়ার চিকিৎসক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মেহমেত ওজ, ওহাইওর জনপ্রিয় লেখক জেডি ভান্স প্রমুখ। তাদের প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে প্রবীণ রিপাবলিকান নেতারা আপত্তি জানান। তবে ট্রাম্প এসবে কান দেননি।
এই জনপ্রিয় তারকারা জিতলে ট্রাম্পের রাজনৈতিক দক্ষতাই প্রমাণিত হবে। এতে কনজারভেটিভ দলের আবেদনও বাড়বে। তবে কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সংখ্যা কমে গেলে ব্যর্থতার দায়ও চাপবে ট্রাম্পের ওপর। এ জন্য প্রার্থী নির্বাচনে ট্রাম্পের অদক্ষতাকে দায়ী করা হতে পারে।
এমনটা ঘটলে রিপাবলিকানদের মধ্যে ট্রাম্পের বিরোধী যারা আছেন, তারা উৎসাহী হতে পারেন। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিসান্টিস ও টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট নভেম্বরে পুনর্নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।