নোয়াখালীর মাইজদীতে পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র জোবায়ের হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত তিন সহোদরসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে মাইজদী, বেগমগঞ্জ ও ফেনী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন, নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর গ্রামের বাদশা আলমের ছেলে বোরহান উদ্দিন রাকিব (২২), আশরাফুল ইসলাম পিয়াস (১৯), আরিফুল ইসলাম (১৬) ও একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাহিদ আলম রিমন (১৬)। এর মধ্যে রাকিবকে মাইজদী থেকে পিয়াস ও আরিফকে বেগমগঞ্জ থেকে এবং রিমনকে ফেনী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার ১২ ঘন্টার মধ্যে রাতেই মূল অভিযুক্তসহ চারজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সোমবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কিশোর গ্যাংয়ের সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে কলেজ ছাত্র জোবায়েরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নিহত জোবায়ের বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগরের কাজী বাড়ির কামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি সোনাপুর আইডিয়াল পলিটেকনিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন। তারা নোয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রপুর মহল্লার মো. শাহজাহানের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
জানা গেছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জোবায়েরের সঙ্গে বড় ভাই-ছোট ভাই ডাকাডাকি নিয়ে একই এলাকার আরিফুল ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জোবায়ের আরিফকে চর-থাপ্পড় মারে। বিষয়টি আরিফ তার বড় ভাই বোরহান উদ্দিন রাকিব ও আশরাফুল ইসলাম পিয়াসকে জানালে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সহযোগিদের নিয়ে জোবায়েরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
নবচেতনা/ আতিক