লক্ষ্মীপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে এসে কর্মরত চিকিৎসক রুবিনা ইয়াসমিনকে নাজেহাল ও প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করায় অভিযোগ উঠেছে। পপি বেগম (২৭) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়। পরে পপি চিকিৎসক রুবিনাসহ ৫জনকে উল্টো অভিযুক্ত করে ওই নারী সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হাসপাতালে তদন্তে যান। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের কর্মরত চিকিৎসকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওই হাসপাতাল মিলনায়তনে ‘বিএমএ ও স্বাচিপের’ ব্যানারে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন আহমেদ ফারুক, পরিবার-পরিকল্পনা উপ-পরিচালক আশফাকুর রহমান মামুন, স্বাচিবের সভাপতি মো. জাকির হোসেন, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের এমও ক্লিনিক ডাঃ আফরিন সুলতানা, ডাঃ আবদুল্লাহ জাহিদ, মোরশেদ আলম হিরো, মো. ইসমাইল হাসানসহ অসংখ্য চিকিৎসক।

সভায় বক্তরা বলেন, রুবিনা ইয়াসমিন একজন ভালো চিকিৎসক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সেবা দিয়ে গেছেন এ লক্ষ্মীপুরবাসীকে। কখনো কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারেনি। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে পপি বেগম নামে ৭ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে টিকা নিতে আসেন। তার টিকার কার্ডের জন্ম-তারিখ ও মৌখিক জন্ম-তারিখের বিশাল গড়মিল থাকায় (ডাক্তার) রুবিনা ওই নারীকে বলেন, আপনি সঠিক জন্ম-তারিখ টা বলুন। আপনার জন্ম-তারিখের সঙ্গে প্রথম সন্তানের জন্ম-তারিখ মিলছে না। এ কথায় বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে পপি বেগম (ডাক্তার) রুবিনার ওপর রেগে উঠেন। একপর্যায়ে পা-থেকে জুতা খুলে (ডাক্তার) রুবিনাকে তেড়ে যান। এ সময় ডাক্তারের কক্ষে থাকা শামীমা আক্তার নামে এক নার্স ডাক্তার রুবিনাকে রক্ষা করে। এসময় (রোগী) পপি বেগমকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। পরে পপি বেগম থানায় গিয়ে ডাক্তার-নার্স ও হাসপাতালের কর্মচারীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সদর মডেল থানায়।