ঢাকার সাভারের আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো থেকে বিশমাইল সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে এই রাস্তার বিকল্প হিসেবে কাঠগড়া, দূর্গাপুর, ঘোষবাগ এবং কান্দাইল এলাকার লোকজন ‘এ আর জিন্স’ কারখানা সংলগ্ন বেপারী পাড়ার রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি এই রাস্তার ড্রেনেজ কাজের খোড়াখুড়ির কারণে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
গতকাল রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বেপারী পাড়ার এই রাস্তায় দীর্ঘ জ্যাম। কাদায় রাস্তা মাখামাখি থাকায় যানবাহন ফেঁসে যাচ্ছে। স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রছাত্রী সহ অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে আনা নেওয়ার কাজে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। তাদের বক্তব্য হলো, বিকল্প রাস্তা না রেখে একই সাথে দুইটি রাস্তার কাজ করার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আশুলিয়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার জানান, কাঠগড়া বেপারী পাড়া মোড়ে একটি ড্রেণেজ কাজ চলমান রয়েছে যা সাভার উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ হাসান সাহেবের মাধ্যমে শাহীন পালোয়ান নামের এক ব্যক্তি কাজটি করছেন। যেহেতু ড্রেণের কাজ, আমিও চাই কাজ হোক, আর যেহেতু এই কাজে সরকারি কোনো বরাদ্দ নাই, এলাকাবাসীর সহায়তায় কাজটি চলমান রয়েছে। এদিকে জিরাবো থেকে বিশমাইল রাস্তার কাজ চলমান বিধায় ওই রাস্তাটিও মোটামুটি বন্ধ। তাই কাঠগড়া, দূর্গাপুরের একাংশ, ঘোষবাগ এবং কান্দাইল এলাকার লোকজন ‘এ আর জিন্স’ কারখানা সংলগ্ন বেপারী পাড়ার রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছিল। কিন্তু এখন রাস্তা খোড়ার কারণে এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। যদি জিরাবো-বিশমাইল রাস্তার কাজ শেষ হবার পরে এই রাস্তার কাজটি ধরা হতো তাহলে আর ওই সকল এলাকার সাধারণ মানুষ এখন যে ভোগান্তিতে রয়েছেন তা হতো না।
মুঠোফোনে সাভার উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামানিক জানান, জনগণের সুবিধার জন্য রাস্তার কাজে সাময়িক সময়ের জন্য একটু ভোগান্তি থাকবেই। তবে দ্রুত এই রাস্তার ড্রেণেজ কাজ শেষ হবে আশা করা যায়।