নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন ভোরে সাড়াশি অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- শহরের কানাইখালী মহল্লার রকি, রনি মিয়া ও সোহান। এ ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে মৃদুল হোসেন ও তার স্ত্রী মিথিলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে এক দোকান কর্মচারী তার এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোর আসেন। পরে স্থানীয় এক বন্ধু তাদেরকে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির বাসায় নিয়ে যান। পরে এই দম্পতি রনি, রকি ও সোহানকে সেখানে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তারা দলবদ্ধভাবে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে তাদের টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ও তার প্রেমিককে ছেড়ে দেয়। এ সময় আনুমানিক রাত ১১টার দিকে নাটোর থানায় গিয়ে তারা অভিযোগ দায়ের করে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দীন জানান, এ ঘটনার খবরে সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয় নাটোর থানা পুলিশ৷ পরে আজ বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার তেলকুপি নূরানিপাড়া থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাতেই এ ঘটনায় সহযোগী স্বামী-স্ত্রীকে শহরের হাফরাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।