ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি টিনশেড বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে আগুনে দগ্ধ হয়ে একমাত্র বেঁচে থাকা ১২ বছর বয়সী শিশু মোহাম্মদ ইয়াছিনও মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যায় ইয়াছিন। এর মধ্য দিয়ে আগুনে দগ্ধ ছয়জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইউব হোসেন জানান, কেরানীগঞ্জে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ নারী ও শিশুসহ ছয়জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একমাত্র বেঁচে থাকা ইয়াছিন আজ সকালে মারা গেছে। তার শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
ইয়াছিনের খালু মোহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, গত শুক্রবার ইয়াছিনের বড় ভাই শাহাদাত মারা গেছে। আজ ইয়াছিনও চলে গেল। পরিবারের আর কেউ রইল না আমাদের।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন মান্দাইল জাওলাপাড়া এলাকার একটি ভবনের নিচতলায় গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে। বিস্ফোরণে ইয়াছিন ছাড়া যারা দগ্ধ হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ২০ বছর বয়সী শাহাদাতের শরীরের ৫২ শতাংশ, ২৬ বছর বয়সী সোনিয়ার ৩০ শতাংশ, ৬০ বছর বয়সী মোছাম্মৎ বেগমের ২৮ শতাংশ, ৫০ বছরের ইদুনি বেগমের ৪০ শতাংশ, ৮ বছরের মারিয়াম আক্তারের দেহের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।