মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ছোঁড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ৮ পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৩৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বিকালে নোয়াখালীর সদর উপজেলার মাইজদী ও আশপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে নোয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.জসিম উদ্দিনসহ আরো ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত জ্বালানি তেল বৃদ্ধির প্রতিবাদে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে নোয়াখালী সদর উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশকে ঘিরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদলের কয়েশ নেতাকর্মী, সমর্থক মিছিল নিয়ে টাউন হল মোড় পার হয়ে জেলা আওয়ামীলীগের অফিসের দিক আসতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। তাদের ইটের আঘাতে ৮ জন পুলিশ আহত হয়। এ সময় পুলিশ উশৃংখল নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৮ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ৩৩ নেতা কর্মিকে আটক করে।
মঙ্গলবার রাত ৮ টায় নোয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক জাতীয় নিশানকে বলেন, আমাদের ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আমরা এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে এর আগে নোয়াখালীর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ নেতাকর্মিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নোয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.জসিম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমাম হেসনে রায়হান, দাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মাজেদুল করিম মুন্না , ২০নং আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ডাক্তার মাইন উদ্দিন, ১১নং নেয়াজপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য অলি উল্যাহ রিপন।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে,গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং ও ভোলায় বিএনপির দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিকেলে সুবর্ণচরে উপজেলা বিএনপি একটি বড় প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশে বিশাল শোডাউন হওয়ায় সরকার দলের নেতারা পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে বিএনপির ৫ নেতাকর্মিকে গ্রেফতার করায়। তাদের বিরুদ্ধে কোন ওয়ারেন্ট নেই বলেও তিনি দাবি করেন।
সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা একটি বিস্ফোরক মামলার সন্ধিগ্ন আসামি। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।