দিনাজপুরে প্রেমের টানে ছুটে এলেন অস্ট্রেলিয়ান যুবক অ্যাড্রিয়ান বারিসো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রুম্পার সাথে পরিচয় হয় সুদূর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক অ্যাড্রিয়ান বারিসো নিরার (৩৫)।
গত মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে দিনাজপুর শহরের ইয়াম্মি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দুই শতাধিক বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উপস্থিতিতে নুসরাত জাহান রুম্পা প্রেমিক অ্যান্ড্রিয়াল বারিসো নিরাকে ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেন। রুম্পা দিনাজপুর শহরের ৩ নং উপশহর এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের কন্যা।
দিনাজপুর উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জান্নাতুন সাফা শাহিনুর বলেন, রুম্পা আমার ছোট বোনের মতো। সেই অনুযায়ী তার বিয়ের অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত ছিলাম। নিরা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক হলেও অনেক মিশুক একটি ছেলে। বাংলায় কথা বলতে না পারলেও ইংরেজিতে একটি মানুষের সাথে মিশতে বেশি সময় লাগে না। আমি রুম্পার কাছে শুনেছি তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক ২০১৯ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে। ২০২০ এবং ২০২১ সালে বিশ্বে করোনার পরিস্থিতির ভয়াবহ হওয়ায় নিরা বাংলাদেশে আসতে পারেনি। এই সময় সুযোগ পেয়ে পরিবারের সম্মতি নিয়েই তিনি বাংলাদেশে আসেন এবং বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এবং মুসলিম ধর্মীয় নীতি অনুসরণ করেই রুম্পার পরিবারের অনুমতিতে তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
নুসরাত জাহান রুম্পা বলেন, ২০১৯ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে নিরার সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকেই তার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। বন্ধুত্ব হওয়ার পর থেকেই ভালোলাগা শুরু হয়। এক সময় ভালোলাগা থেকেই ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। তার এই ভালোবাসা আজকে আমাদের বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে। তার শিশুসুলভ ব্যবহার, মাধুর্যপূর্ণ কথাবার্তা আরও বেশি ভালো লাগতে শুরু করে। তার ভালোবাসা সাগরের মতোই অসীম। তাই সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে আমার কাছে ছুটে এসেছে। তার পরিবার ও আমার পরিবারের সম্মতিতেই বাংলাদেশের আইন মেনেই আমাদের এই বিয়ের কাজ সুসম্পন্ন করা হয়েছে।
আড্রিয়ান বারিসো নিরা বলেন, ২০১৯ সালে রুম্পার সাথে ফেসবুকে পরিচয় হওয়ার পর থেকেই তাকে একনজর দেখার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে থাকতো। যদিও আমাদের ভিডিও কলে প্রায়ই কথা হতো, কিন্তু তাকে স্বচক্ষে দেখার জন্য মনটা সবসময়ই ব্যাকুল হয়ে যেত। রুম্পা অত্যন্ত একটি শান্ত, বুদ্ধিমতি মেয়ে। তাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। বাংলাদেশ এখন আমার শ্বশুরবাড়ির দেশ। বিশেষ করে দিনাজপুরের প্রতিটি মানুষ এখন আমার আত্মীয়।