দেশে অবৈধ মানি চেঞ্জার রয়েছে ৫০৭টি। অবৈধদের ব্যবসা বন্ধ করতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত ২৩৫টি মানি চেঞ্জারকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বর্তমানে বৈধ-অবৈধ মিলে মানি চেঞ্জারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪২টি।
সংবাদ সম্মেলন মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক অভিযানে যাদের ভুলত্রুটি পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আবার প্রয়োজনে সময় নিয়ে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশের ভেতর ডলার আসার তুলনায় যাচ্ছে বেশি। তাই বিদেশে যাওয়ার সময় ক্যাশ ডলার বহনে নিরুৎসাহিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই ডলারের আউটফ্লো বেড়েছে। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সে পরিমাণ ডলার দেশে আসছে না। এ কারণেই খোলা বাজারে ডলারের মূল্য হু হু করে বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাজারে ডলার সংকট ও রিজার্ভ কমার অন্যতম কারণ হলো আমদানি বৃদ্ধি। আমদানির তুলনায় বাংলাদেশের রফতানি অনেক কম। তাই আমদানি-রফতানির মধ্যে শূন্যস্থান পূরণ করতে হলে রফতানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
বাজার স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটা অব্যাহত থাকবে। তবে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির দিকেও নজর দিতে হবে বলেও জানান সিরাজুল ইসলাম।