শেরপুরে নৃ-জনগোষ্ঠির দুই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাণনা জানানো হয়েছে। সম্মাণনাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন ঝিনাইগাতীর গান্ধিগাঁও এলাকার নবীন কোচ এবং নালিতাবাড়ীর বেলতৈল এলাকার কালাচাঁন হাজং। ৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলার গাজনী এলাকার কমপেসন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সম্মাণনা অনুষ্ঠানে অতিথিরা ওই দুই মুক্তিযোদ্ধাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন উললক্ষে নাগরিক প্ল্যাটফরম জনউদ্যোগ শেরপুর, ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, কোচ আদিবাসী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, জিবিসি বাংলাদেশ বাবেলাকোনা সার্কিট, বর্মন ও হাজং কল্যাণ পরিষদ, আইইডি সহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে গঠিত উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এ সম্মাণনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে কোচ, গারো, হাজং ও বর্মন জাতিগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ও উপকরণ প্রদর্শনী এবং পরে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রীতি ফুটবল ম্যাচে শ্রীবরদী নৃ-জনগোষ্ঠি একাদশ ৪-৩ গোলে ঝিনাইগাতী নৃ-জনগোষ্ঠি একাদশকে হারিয়ে জয়লাভ করে। পাস্টার জনার্দন বনোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, মাস্টার হিরণ বর্মন, নারী নেত্রী নাসরিন বেগম ফাতেমা, কবি প্রাঞ্জল এম. সাংমা, নারী উদ্যোক্তা আইরীন পারভীন, উন্নয়ন কর্মী রয়েল কোচ, সুজল সাংমা, মিঠুন কোচ, মাধব হাজং প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ অনুষ্ঠান থেকে আদিবাসীদের সাংবিধানিক
স্বীকৃতি, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভুমি কমিশন এবং শেরপুর জেলায় একটি আদিবাসী কালচারাল একাডেমী স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ও দাবী জানানো হয়। অনুষ্ঠানে কোচ, গারো, হাজং, বর্মন, হদি জনগোষ্ঠির শতাধিক নারী-পুরুষ ছাড়াও শিক্ষক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, উদীচী, বার্ড কনজারভেশন শেরপুর, পিলাচ, বর্মন ছাত্র পরিষদ, আইপি হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরাম (এইচআরডি) নেতৃবৃন্দ ও সুুধীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।