নীলফামারীর গ্রামীনে হস্ত কুটির শিল্পের পন্য তৈরি করে অর্থনৈতিকভাবে মানুষের উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
এখানকার গ্রামীন নারীদের এক সময় অলস সময় কাটত,পরিবার-পরিজন ও সংসার নিয়ে।স্বামীর একার আয় দিয়ে সংসার চালানো ছিল খুবই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। এই প্রতিকূলতাকে সামনে রেখে সদরের লক্ষীচাপসহ কয়েকটি ইউনিয়নে শত শত পরিবারের নারীকে স্বপ্ন চুড়া হস্ত কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে ২০২০ সালে ডিসেম্বরে এক মাসের ট্রেনিং দিয়েছিল আর সেই নারীরা আজ সুফল পেতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাড়ির কাজ সেরে নারীরা অবসর সময়ে বাড়িতে বসেই কলার হোকলা ও পাট দারা নিপুন হাতে তৈরি করছেন ম্যাট,আনিশা ম্যাট,রাউন্ড ম্যাট,ওয়ার ম্যাট সহ বিভিন্ন রকমের বিশ আইটেম এর পন্য। এ সকল কাচাঁমাল আর্টিশান ও বিডিকেশান কোঃ ও মাঝে মধ্যে ফেনী,ভোলা,বরিশাল,কুমিল্লা থেকে আমদানি করে কারিগরদের সরবরাহ করেন উদ্যোক্তারা।
তৈরি কৃত পন্য বাবদ প্রতি মাসে কারিগররা পেয়ে থাকেন ৫ হতে ৭ হাজার টাকা এই টাকায় তাদের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা,হয়েছেন স্বাবলম্বী,মুখে ফুটেছে হাঁসি।
কথা হলে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরনীবাড়ি গ্রামের রাম প্রসাদের স্ত্রী কারিগর কনিকা রানী,নারায়ন চন্দ্রের স্ত্রী ফুলোবালা,রতন রায়ের স্ত্রী কনিকা রানী বলেন, আমরা প্রশিক্ষন নিয়ে নিজ পরিবারের কাজ শেষ করার পর অবসর সময়ে ম্যাট,ফুলদানীসহ নানান জিনিষ বানাই। এ বাবদ প্রতিমাসে ৫ হাজার হতে ৭ হাজার টাকা আয় করি, সংসারের কাজে খরচ করার পর হাতে টাকা জমাও থাকে আগের চেয়ে বর্তমানে দিন অনেক ভালো যাচ্ছে কোন অভাব নাই।
এখানকার এসব পন্য গুলো মানসম্মত ও পরিবেশ সামঞ্জস্ব পুর্ন হওয়ায় বিদেশে প্রচুর চাহিদা, জাপান,অস্টেলিয়া,ফ্রান্স,ইতালি,এ্যামেরিকা হংকংসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয় উদ্দ্যোক্তা ও পরিকল্পনা কারী শংঙ্কর চন্দ্র রায় জানান, কারিগরদের কাছে পন্যের কাচামাল আমরা সরবরাহ করি এবং আমরাই সঠিক দামে তৈরি পন্যগুলো ক্রয় করে বিদেশী বায়ারের কাছে বিক্রয় করে থাকি। এই কাজের মাধ্যমে যেমন এলাকার গ্রামীন পরিবার গুলো হচ্ছে উপকৃত অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী অপরদিকে আমাদের কয়েক বন্ধুর সৃষ্টি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান। লক্ষীচাপ ইনিয়নের পাঁরঘাট পাড়া আলোর বাজারের পার্শ্বে আমাদের অফিস ঘর। অলস সময় কাটনো নারীরা এখন স্বপ্ন দেখছেন আকাশ ছোঁয়া।
মুল উদ্যেগতা শংঙ্কর রায় আরো বলেন, আমরা কয়েক বন্ধু মিলে চার লক্ষ্য টাকা মুলধন নিয়ে এই কুটির শিল্পের ব্যবসা শুরুকরি, দুই বৎসরে আমদের মোট মুলধন ছারিয়ে গেছে এখন লক্ষ্য হল গ্রামাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন মান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী গড়ে তোলা এবং আগামী এক হতে দুই বছরের মধ্যে পাঁচ হাজার লোকের নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃস্টিকরা।
এ বিষয়ে কথা হলে নীলফামারী জেলা কর্মকর্তা বিসিক এর উপ-ব্যবস্থাপক হোস্নেয়ারা খাতুন বলেন, এ সব কাজে যে কোন পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে আমরা সবসময় প্রস্তুত।