পদ্মাসেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলবাসীর দূরত্ব কমেছে অনেক। সময় ও অর্থ সাশ্রয় করে রাজধানীর আরো কাছে চলে এসেছে দক্ষিণাঞ্চল। এতে সবার মনেই বিরাজ করছে স্বস্তি।
ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার যোগাযোগের অন্যতম দুটি নৌপথ ছিল বাংলাবাজার-শিমুলিয়া এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া। এছাড়া রাজধানীর মৈনট ঘাট পার হয়ে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন দিয়েও পারাপার করা যায়। তিনটি নৌরুট দিয়েই পদ্মা নদী অতিক্রম করতে হয়। এত বছর পদ্মা নদীর কারণেই রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না দক্ষিণাঞ্চলবাসীর।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান। শনিবার (২৫ জুন) সকালে উদ্বোধন করা হয়েছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। রোববার সকাল থেকেই পদ্মাসেতু দিয়ে সরাসরি সড়কপথে রাজধানীতে পৌঁছাতে পারবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ।
পদ্মাসেতু পেয়ে উচ্ছ্বসিত নদীর দক্ষিণ পাড়ের মানুষ। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার নানা শ্রেণিপেশার মানুষ জানিয়েছে, পদ্মাসেতুর ফলে এ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ঢাকাকেন্দ্রিক বাজার তৈরি হবে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী সহজেই ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। আবার ঢাকা থেকেও প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আসা যাবে। সেতুর ফলে সময়ও বাঁচবে, খরচও কমবে। এতে পদ্মাপাড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, বাড়বে জীবনযাত্রার মানও।
শিবচরের উৎরাইল নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক আজিজুল হক বলেন, পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় এ রুটে যাত্রীদের আর দুর্ঘটনার শিকার হতে হবে না। পদ্মাসেতু শুধু সেতু নয়, আমাদের আবেগ।
শহিদুজ্জামান সোহেল নামে শিবচরের আরেক বাসিন্দা বলেন, আমি ঢাকায় চাকরি করি। বাড়িতে মা থাকেন। আগে মাকে দেখতে যখন-তখন আসতে চাইলেও পারতাম না। লঞ্চ, ফেরি, ঝড়-বৃষ্টিসহ নানা বাধা থাকতো। এখন আর কোনো বাধা রইল না। আমরা পদ্মার পাড়েই থাকি, আমাদের কাছে পদ্মাসেতুর গুরুত্ব অনেক।