সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় দিশেহারা মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে পুরো সিলেট অঞ্চল। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ডুবে এবং বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। অকাল বন্যায় ভেসে গেছে লাখ লাখ মানুষের সাজানো সংসার। বানের স্রোত কেড়ে নিয়েছে মা-ছেলেকেও। ঘরবাড়ি ও স্বজনদের হারিয়ে নিঃস্ব মানুষ।
এবারের ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে সিলেট বিভাগে অন্তত ২৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৪ জন, সুনামগঞ্জে ৬ জন, মৌলভীবাজারে ৩ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় বানের পানিতে ভেসে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৩ জনের খবর জানতে পেরেছি। এর মধ্যে সিলেটে টিলাধসে একজন, বন্যার পানিতে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে স্পৃষ্ট হয়ে ২ জন এবং নৌকাডুবি ও বানের পানিতে ভেসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলায় বজ্রপাতে ৩ জন, বন্যার পানিতে ডুবে ৩ জন এবং মৌলভীবাজারে সাপের কামড়ে এক কিশোর, টিলাধসে একজন এবং বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ হোসাইন বলেন, জেলায় নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় অনেক তথ্য জানার বাইরে রয়ে গেছে। তবে এ যাবত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বজ্রপাতে ৩ জন এবং বন্যায় ৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ছাতকে নৌকাডুবিতে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এছাড়া মৌলভীবাজারে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন অবধি ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে টিলাধসে একজন, বন্যার পানিতে ডুবে এক শিশু ও সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সিলেট সদরের ইউএনও নুসরাত আজমেরী হক জানিয়েছেন, বন্যায় এ পর্যন্ত তিনজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছেন। এর মধ্যে একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ও দুজন পানিতে ভেসে গিয়ে মারা গেছেন। এছাড়া পানিতে ভেসে যাওয়া একজন এখনো নিখোঁজ।