প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালানো প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারকে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশনের (ইন্টারপোল) সহযোগিতা চায় দুদক।
এছাড়া তাকে ফেরাতে দুদকের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে বলা হবে। ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তাও নেয়া হবে। দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এসব কথা জানিয়েছেন।
পি কে হালদার ও তার পাচার করা সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনতে সোমবার দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৈঠক শেষে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ মাহবুব এ সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ৩৫টি মামলা আছে। এসব মামলার মধ্যে মাত্র একটিতে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। ঐ মামলায় পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
ভারত এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পিকে হালদারকে গ্রেফতারের কথা বাংলাদেশকে জানায়নি উল্লেখ করে দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, তবে ভারত সরকারের কিছু সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে বোঝা যাচ্ছে, পি কে হালদার গ্রেফতার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যে ব্যক্তিকে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে চার-পাঁচটি মামলা হয়েছে। তাকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। সেসব মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করেছেন এবং ভারতে নাম পরিবর্তন করে আত্মগোপনে ছিলেন। এছাড়া গ্রেফতার ব্যক্তির ছবি দেখেও বোঝা যাচ্ছে তিনিই পিকে হালদার।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাকে দুদক আগেই কিছু তথ্য দিয়েছিল। সে সব তথ্য অভিযান চালাতে এবং পিকে হালদারকে গ্রেফতার করতে সহায়ক হয়েছে বলেও তিনি জানান।
পিকে হালদারের দুর্নীতির সঙ্গে কোনো প্রভাবশালী জড়িত থাকলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ মাহবুব বলেন, সে ক্ষেত্রে প্রমাণ সাপেক্ষে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।