মুসলমানদের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে বেশিরভাগ মানুষ পরিবার বা আত্মীয়দের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গেছেন। তারপরও রাজধানীতে রয়ে গেছেন অনেকেই। ঈদ উপলক্ষে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য কেউ কেউ যেতে পারেন মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায়। শেষ মুহূর্তে চিড়িয়াখানায় চলছে সৌন্দর্য্য ও দর্শক নিরাপত্তার প্রস্তুতি।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। এতেই অনেকেই আজই বের হয়ে পড়েছেন ঘুরতে। দর্শনার্থীদের উপস্থিতির মধ্যেই চিড়িয়াখানায় চলছে সৌন্দর্য্য বর্ধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।
দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যাপসহ বসানো হয়েছে বেসিন। উপরের ময়লা যেন বেসিনে না পড়ে তাই দেওয়া হয়েছে টিনের ছাউনি।
প্রস্তুতি নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেন, করোনায় তো গেল দুই বছর। এবার সব উন্মুক্ত তাই চিড়িয়াখানায় বাড়বে দর্শনার্থীদের ভিড়। এ লক্ষ্যে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
তিনি সুযোগ সুবিধার বিষয়ে বলেন, দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। যেন দুর্গন্ধ না ছড়ায়। গত কয়েকদিন ধরে আমরা কাজ করছি। এছাড়া চিড়িয়াখানার প্রাণীগুলোর জন্য আমরা কিছু মেডিসিন ব্যবহার করছি। কারণ অনেক দর্শনার্থী যেহেতু আসবেন, সেহেতু মেডিসিন ব্যবহার না করলে প্রাণীগুলোর মধ্যে বিভিন্ন রোগ-বালাই ছড়াতে পারে।
ঈদে চিড়িয়াখানায় নতুন প্রাণী সংযোজনে বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, নতুন কিছু প্রাণী সংযোজন হবে। তবে সেগুলো এখনো আসেনি। আফ্রিকান সিংহ, ক্যাঙ্গারুসহ আরো কয়েকটি প্রাণী আনা হবে। এছাড়া যে প্রাণীগুলো চিড়িয়াখানায় আছে, সেগুলো নিয়মিত চেকআপ করার পাশাপাশি খাবারের মান ভালো রাখার চেষ্টা করছি।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রাণী ও দর্শনার্থীদের আগমনের বিচারে সবচেয়ে বড় ৭৫ হেক্টরের এ চিড়িয়াখানায় গেল দুই বছর করোনার জন্য দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে এবার আর তা থাকছে না।