চলমান সংসদ অধিবেশনেই নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন আইন পাস করার চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষদিনে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল আইনের পদক্ষেপ ও মোবাইল কোর্টে যে মামলাগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সাক্ষ্য আইনের সংশোধনীর বিষয়গুলিও আলোচনায় এসেছে। এছাড়া গত তিনদিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন আইনের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেই বিষয়গুলো নিয়েও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
আমরা একটি বৈষম্য বিরোধী আইন করার প্রস্তাব করেছি, যেটা মন্ত্রিপরিষদ খসড়া অনুমোদন দিয়েছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ইউনাইটেড নেশন হিউম্যান রাইটস অব কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। এর আগেও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বিষয় দুইবার আলোচনা করেছি। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত তিনদিন আগেও তাদের অবহিত করা হয়েছে। তাদের তারিখ নির্ধারণ করে জানাতে বলা হয়েছে। আমরা বসতে রাজি আছি। আইন ও বিচার বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইসিটি মন্ত্রণালয় সমন্বয়ে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে, তারা এ বিষয়ে আলোচনা করবে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা আলাপ করেছি, যেন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা না হয়। এ বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি এ মামলায় সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার না করতেও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা দেওয়ার পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের গ্রেফতার অনেকাংশে কমে গেছে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। এটি সাইবার অপরাধের কারণে করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানে বাক স্বাধীনতা ও ফ্রিডম অব প্রেস রয়েছে। এই আইন আমরা আগে করছি। এখন বিশ্বের অনেক দেশে সাইবার অপরাধ বিষয়ক আইন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার আইন ও নির্বাচন আইন চলমান সংসদে অধিবেশনেই পাস করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। তবে করোনা পরিস্থিতির ওপর এটা নির্ভর করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ভূমি রেজিস্টার বা সাব-রেজিস্ট্রার আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে।