করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, গত ১৫ দিনে করোনার সংক্রমণ ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই গতিতে করোনা বাড়লে হাসপাতালে জায়গা পাওয়া যাবে না। যার যার প্রয়োজনে মাস্ক পরতে হবে। এতে করে নিজে এবং তার পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। ৭০ লাখ লোককে বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষমতা আছে। বর্তমানে ৯ কোটি ৩০ লাখ টিকা হাতে আছে। টিকার কোনো সমস্যা নেই। শুধু ঢাকার এক জরিপে ৬৯ শতাংশ করোনা উন্নতির তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। টিকাও গ্রহণ করতে হবে। টিকা নিলে মৃত্যুঝুঁকি কমে আর মাস্ক পরলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সাড়ে ১৪ কোটি টিকা দিয়েছি। আমাদের টিকা যা হাতে আছে এবং যা পাবো তাতে আমাদের জনগণের যতো টিকা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশিই আছে। মাস্ক পরবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এবং ভ্যাকসিন সময়মতো নেবেন। সরকারের যে ১১ দফা বিধিনিষেধ আছে তা মেনে চলতে হবে।
জাহিদ মালেক আরো বলেন, ৫০ বছরে নামিয়ে এনে বুস্টার ডোজ দিলে প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দিতে হবে। সেটা আমাদের জন্য কোনো অসুবিধা নয়। আমরা শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রায় এক কোটি সাত লাখ টিকা দিয়েছি। আমাদের কাছে টিকা আছে নয় কোটি ৩০ লাখ ডোজ। টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন যারা করেছেন তাদের অধিকাংশের টিকা দেওয়া হয়ে গেছে, খুব একটা বাকি নেই।
তিনি বলেন, হাসপাতালে করোনা রোগী এরইমধ্যে ১ হাজার ২০০ হয়েছে। প্রতিদিন ৫ হাজার করে বাড়লে, একসময় তো ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার, ১০ হাজারে যেতে সময় লাগবে না। ১০ শতাংশ হলেও তো প্রতিদিন এক হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হবেন। আমাদের বেড আছে সবমিলিয়ে ২০ হাজার। তাহলে এটা ফিলাপ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। এক মাস বা তারও কম সময়ের মধ্যে এটা পূরণ হয়ে যাবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, আমরা যদি বেপরোয়াভাবে চলি, সরকারের বিধিনিষেধ না মানি, তাহলে সামনের দিনগুলো ভালো কাটবে না।