দলিল লেখাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত সব ধরনের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি (জলছবি) অবিলম্বে অন্তর্ভুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সব ধরনের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর ছবি (জলছবি) অন্তর্ভুক্ত করতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, আইনসচিবসহ ৯ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর ছবি অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রংপুরের বাসিন্দা সিআইজি (ফসল) সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আতাউল্লাহ নূরুল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
অ্যাডভোকেট আতাউল্লাহ নুরুল কবির নয়ন বলেন, ১৯৪২, ১৯৪৪ ও ১৯৪৮ সালে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তৎকালীন গভর্নরের ছবি অন্তর্ভুক্ত ছিল। দেশের মুদ্রায় বঙ্গবন্ধুর ছবি সংযোজিত আছে। সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ জাতির পিতার ছবি এখনো নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। জাতির জনক যেহেতু দেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও মহানায়ক, তার ছবি স্ট্যাম্পে ছাপানো হলে শত শত বছর ধরে মানুষ জানতে পারবে।
তিনি জানান, গত ১৯ নভেম্বর নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর ছবি (জলছবি) অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং অর্থ মন্ত্রলণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করা হয়। সেখানে জমির দলিল, নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ও ডামি স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি (জলছাপ) অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়।
এর আগে, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রংপুর সিটি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন কৃষিভিত্তিক সংগঠন কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ সিআইজি (ফসল) সমবায় সমিতির নেতারা।
এ সময় বেশ কটি সংগঠনের নেতারা তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। কিন্তু এতকিছুর পরও তার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর জলছবি অন্তর্ভুক্তি না করায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।