পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে এখান থেকে বিভিন্ন দেশে সরাসরি ফ্লাইট যাবে। এতে ভারতের লোকজনও এ বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবেন।
শুক্রবার ওসমানী বিমানবন্দরের নির্মাণাধীন কার্গো টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন ।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা ওসমানী বিমানবন্দর অনেক বড় করছি। শুধু সিলেটের লোকজন বিদেশে যাবেন সেটা নয়, ভারতের সেভেন সিস্টার্সের লোক ও করিমগঞ্জ, শিলংয়ের লোকেরাও বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, ওসমানী বিমানবন্দরে আটটি বোর্ডিং ব্রিজ হবে। কাজ সম্পন্ন হলে এখান থেকে সরাসরি বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট যাবে। এখন শুধু লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে সরাসরি ফ্লাইট যায়। কাজ শেষ হলে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের লোকেরা এখানে এসে বিদেশে যেতে পারবেন।
কার্গো টার্মিনাল ঘুরে দেখার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কার্গো টার্মিনালের কাজ মোটামুটি শেষের দিকে, মূল মেশিনটা বসে গেছে। এটা (মেশিন) ডিটেকশন (শনাক্ত) করবে যে কার্গোতে কী মালামাল আছে। এটার সবচেয়ে সুবিধা হলো, একসঙ্গে অনেক কার্গো দিতে পারবেন। কিন্তু কার্গোতে কী আছে, তা প্রত্যেকটা আপনি ডিটেকশন করতে পারবেন। আমাদের দেশে এ ধরনের অনেকগুলো কার্গো কেনা হয়েছে। আরো ছয়টি ঢাকার জন্য কেনা হয়েছে। শুধু আমাদের সিলেটেরটি ইনস্টল (বসানো) হয়েছে। সুতরাং এটা একটা ভালো খবর।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের যথেষ্ট সম্পদ আছে। বিভিন্ন রকমের শাকসবজি ও ফসল আছে, যার বিদেশে মার্কেট ভালো। এজন্য আগামীতে আমরা কার্গো ফ্রেইট (মালামাল বহনকারী বিমান) কেনার দিকে বেশ নজর দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কিছু কার্গো ফ্রেইট কিনবেন। আমাদের কার্গো ফ্লাইট নেই। আমরা এখন সাধারণ বিমানের মাধ্যমে মালামাল পাঠাই। আগামীতে যদি কার্গো ফ্লাইট হয়, তাহলে আমরা অনেক বেশি মালামাল বিদেশে পাঠাতে পারব। সেজন্য নতুন কার্গো ফ্রেইট কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ওসমানী বিমানবন্দর থেকে কার্গো পাঠাতে নিরাপত্তার দিকে যেন নজর রাখা হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে ১০০ টনের বেশি মালামাল রাখা যাবে বলেও জানান তিনি।