ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০২২ সালের হজ সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থাকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ নিজ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
রোববার বেলা ১১টায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে ২০২০ এবং ২০২১ সালে হজযাত্রীরা সৌদি আরব যেতে পারেননি। বর্তমানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ওমরাহ যাত্রী সৌদি সরকার প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য শর্তাবলি পালন সাপেক্ষে ওমরাহ পালন করছেন। আশা করা যায়, সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই, জিলহজ ১৪৪৩ হিজরি পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশি হজযাত্রীরা হজে অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সৌদি-বাংলাদেশ হজ চুক্তির পর বিস্তারিত বলা হবে। তবে আগামী হজ সুন্দরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে হজের অনেক কার্যক্রমের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে হবে।
বৈঠকে প্রাক-নিবন্ধনের বিদ্যমান অবস্থা, নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বিদ্যমান অবস্থা, হজ প্যাকেজ, প্রাক নিবন্ধন ও নিবন্ধন কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়, পাসপোর্ট, রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ, বাংলাদেশ থেকে ওমরা পালনের নিমিত্ত সৌদি আরবে গমনকারী ব্যক্তিদেরকে বুস্টার ডোজ প্রদান, হজ যাত্রীদের জন্য টিকা ক্রয়, ইলেকট্রনিক হেলথ প্রোফাইল, হজের কার্যক্রম বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা, হজ এজেন্সি নবায়ন ও তালিকা প্রকাশসহ বিবিধ বিষয়ের করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ধর্ম, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন, স্বাস্থ্য, তথ্য, সিভিল অ্যাভিয়েশন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, হজ অফিস, ঢাকা ও জেদ্দা, পাসপোর্ট, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), সোনালি ব্যাংক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।