গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬২ জন এবং মারা গেছেন ৭ হাজার ৬৩০ জন।
করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠাদের হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে এদিন মারা গেছেন ১ হাজার ৪৩৩ জন এবং রাশিয়ায় ১ হাজার ১৮৯ জন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে বুধবার করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৪ হাজার ৯০১ জন এবং রাশিয়ায় ছিল ৪০ হাজার ৪৪৩ জন।
এ দুই দেশ ছাড়া করোনায় নতুন আক্রান্ত ও মৃতের উচ্চহার দেখা দেওয়া দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ৪১ হাজার ২৯৯, মৃত্যু ২১৭), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ২৯ হাজার ৭৬৪, মৃত্যু ২৪৬), জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ২৬ হাজার ৪৫৩, মৃত্যু ১৮৪) ও ইউক্রেন (নতুন আক্রান্ত ২৩ হাজার ৩৯৩, মৃত্যু ৭২০)।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৮ জন। আগের দিন মঙ্গলবার এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮ জন। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে অর্ধলাখেরও বেশি, অর্থাৎ ৫০ হাজার ১৬০ জন।
বর্তমানে বিশ্বে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৮৬ জন। এ রোগীদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ১ কোটি ৮২ লাখ ৬২ হাজার ৯২৯ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৭৩ হাজার ৯৫৭ জন।
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৪ কোটি ৮৭ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৭ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৫০ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭০ জনের। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন মোট ২২ কোটি ৫৪ লাখ ১৪ হাজার ৮২১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। এরপর দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়লে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।