ফেসবুক সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনাটি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড না হতো তাহলে এ ঘটনা বিস্তৃত হয়ে সারাদেশে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। রংপুরের পীরগঞ্জের ঘটনাও সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে ঘটেছে।
রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্য গিয়েছিলাম। সেখানে তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর বিষয় নিয়ে বসেছিলাম। ইউরোপে একটি জরিপে উঠে এসেছে যে, ইউরোপের ৮০ ভাগ মানুষ মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়া অনেকক্ষেত্রে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, সমাজের শান্তির জন্য হুমকি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপের পার্লামেন্টারি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়া হয় এবং এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটে। নাসিরনগর, কক্সবাজারের রামুর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই ঘটেছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছি তোমরা কী ব্যবস্থা গ্রহণ করো। তিনি জানিয়েছেন পার্সনকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। পার্সন পরিচয় লুকিয়ে পোস্ট দেয় কিংবা বিদেশ থেকে পোস্ট দেয়। উই ফাইন্ড অথরিটি, সোশ্যাল মিডিয়া সার্ভিস প্রোভাইডার। যেসব ঘটনা ঘটেছে সেটির দায় সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। এটি নিয়ে ভাবার বিষয় আছে। শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী এটি উদ্বেগ তৈরি করেছে।
মন্ত্রী বলেন, ফোনের সিম কিনতে গ্রাহকের আইডি কার্ড লাগে, একজন ব্যক্তি কয়টি সিম পাবে সেটিও নির্ধারণ করা আছে। একটি কর্পোরেট হাউজ কয়টি সিম পাবে সেটিও নির্ধারণ করা আছে। সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। বাংলাদেশেও আইডি কার্ড দিয়ে যেন ফেসবুক আইডি খুলতে পারে, সেটি করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। যারা ফেসবুকে চাকরি করেছে তারা চাকরি ছেড়ে দিয়ে এসে বলছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্য তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার চেয়েও নিজেদের লাভটাকে বেশি গুরুত্ব দেয়।