বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সুবিধা এখন আর স্বপ্ন নয়, কেননা দেশের প্রায় শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা তার কিংবদন্তি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন।
২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর বিদ্যুৎকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা করে ২০২১ সালের মধ্যে সব পরিবারের মধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করে। ২০০৯ সালে মাত্র ৪৭ শতাংশ থেকে ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে সরকার সফলভাবে তার ভিশন ২০২১ অর্জন করে, যা ২৪ হাজার মেগাওয়াটের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দৃঢ় ভিত্তি রচনার পর সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য হল ২০৩০ সালে মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ যখন একটি সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত হতে চায় ততদিনের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
সম্প্রতি এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, দেশের বিদ্যুৎ জ্বালানির ইতিহাসে বিগত এক যুগ অনন্য সাফল্য বয়ে এনেছে। বিদ্যুৎখাত উন্নয়ন সূচকের ১১ খাতের সবগুলোতেই ধারাবাহিক উন্নতি এই সাফল্য বয়ে এনেছে। এক যুগে প্রধান চার সূচক-কেন্দ্র নির্মাণ ৪৪০ ভাগ, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ৩৫৪ ভাগ, নীট উৎপাদন ২৩৫ ভাগ বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগের সংখ্যা বেড়েছে ২৭৬ ভাগ।
২০০৯ সালে দেশে মাত্র ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল। এই ২৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্বাধীনতার আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। কেন্দ্রগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও জোড়াতালি দিয়ে তা চালিয়ে নেয়া হচ্ছিলো। পরবর্তীতে এসব কেন্দ্রর জায়গাতে নতুন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৭ বছরের প্রচেষ্টায় দেশের মাত্র ৪৭ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকেরও কম মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী এক যুগে বিদ্যুৎ পাচ্ছে দেশের সব মানুষ।
দেশের বিদ্যুৎ খাতের এমন অভূতপূর্ব সাফল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎ, আন্তরিক ও যোগ্য নেতৃত্বে কাজ করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে ১৪৬-এ উন্নীত হয়েছে। অথচ ২০০৯ সালে এটি ছিল মাত্র ২৭টি। উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে (ক্যাপ্টিভসহ) পৌঁছেছে, যা ২০০৯ সালে ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট (ক্যাপ্টিভসহ)।
তিনি বলেন, আমরা সমস্ত পাওয়ার ক্যাবল এবং সাব-স্টেশনকে মাটির নিচে নেয়ার জন্যও কাজ করছি। আমরা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অংশ ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের মোট উৎপাদন ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে চাই।
নসরুল হামিদ বলেন, সৌর বিদ্যুৎ অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের তুলনায় অনেক ভালো এবং সরকার ছাদে সৌর এবং ভাসমান সৌর প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছে। এছাড়া ছাদে সৌরবিদ্যুৎ জনপ্রিয় করতে নেট মিটারিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে এবং বায়ু শক্তির সাহায্যে আরো বিদ্যুৎ উৎপাদনেরও সুযোগ আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়ি বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনার মাধ্যমে বাংলাদেশ খুব শিগগিরই বিদ্যুতের ওপর সম্পূর্ণ স্বনির্ভরতা অর্জন করবে।
পাওয়ার সেক্টর মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে, ২০৪১ সালের মধ্যে মোট ক্ষমতার ১৫ শতাংশ (প্রায় ৯ হাজার) বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পাওয়ার কথা রয়েছে। এখন দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ৭৩০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে গ্রিডে যায় ৩১৮ মেগাওয়াট, যার ৮৮ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ আর ২৩০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪৬৭১ মেগাওয়াট অফগ্রিড বিদ্যুৎ আসে। এর মধ্যে ৪৬৬ মেগাওয়াটই আসে সোলার হোম সিস্টেম থেকে। আর বায়ু থেকে তিন মেগাওয়াট, জৈব-গ্যাস থেকে ৬৩০ কিলোওয়াট এবং বায়োগ্যাস থেকে ৪০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ মেলে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার অফগ্রিড এলাকায় সফলতার সঙ্গে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছাতে পেরেছে। দূষণমুক্ত জ্বালানি মানেই পরিবারের ভালো স্বাস্থ্য ও উন্নত জীবন-যাপনের সুযোগ।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি পরামর্শক ও বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফি ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ‘সাফল্যের যুগ’। কেননা এ সময়টাতে তিনি বাংলাদেশের পুরো চেহারা বদলে দিয়েছেন। দেশের প্রায় শতভাগ পরিবারে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত ১২ বছরে অর্থনীতি সাত শতাংশের চিত্তাকর্ষক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। অনেক বড় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো (পদ্মা বহুমুখী সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মাতারবাড়ী-মহেশখালী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেন্দ্র, পায়রা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেন্দ্র ইত্যাদি) ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিদ্যুৎ খাতে বিগত ১২ বছরে সরকারের অর্জিত সফলতার অংশীদার এবং সফলতার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে স্ব স্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল (বিইপিআরসি), টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা), বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শকের দপ্তর, পাওয়ার সেল, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড ও বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ২০২১ এর অনেক আগেই বিদ্যুৎ এখন প্রায় সবার ঘরে পৌঁছেছে। সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে জ্বালানি বহুমুখীকরণের জন্য গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি কয়লা, এলএনজি, তরল জ্বালানি, ডুয়েল-ফুয়েল, পরমাণু বিদ্যুৎ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণসহ বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে সবার জন্য নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এরই মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণকল্পে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যার সুফল মানুষ এরই মধ্যে পেতে শুরু করেছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৮ হাজার ৫৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ২৪ হাজার ৯৮২ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে এবং বিদ্যুতের সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ৪৭ থেকে ৯৯ ভাগে উন্নীত হয়েছে।
তাছাড়া ১৪ হাজার ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণাধীন, ২ হাজার ৯৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন (LOI এবং NOA প্রদান করা হয়েছে) যেগুলো খুব শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে। তাছাড়া ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে আরও ১৫ হাজার ১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পুরাতন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সংরক্ষণ, মেরামত বৃদ্ধির মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি দেশে উচ্চ ও মধ্যম-আয়ের অর্থনীতির উপযোগী, নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ খাত গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই লক্ষ্যে আগামী ৫ বছরের পরিকল্পনায় বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতকে আরো শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (জুলাই ২০২০- জুন ২০২৫) দলিলের চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন দিয়ে সরকার। চলতি (২০২১) বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দলিল অবহিতকরণ’ করা হয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সামনে।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ বলছে, আগামী ৫ বছরে ব্যয়বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ধীরে ধীরে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন কৌশল অনুসরণ করা হবে। সর্বোত্তম জ্বালানি মিশ্রণ পদ্ধতি অনুসরণ করে দক্ষ বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে। অর্থনীতির সব খাতের বাড়তি বিদ্যুৎ চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০২৫ সাল নাগাদ ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধা আওতায় আনা হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জ্বালানি খাতের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে নিয়মিত এই খাতের শুল্ক সমন্বয় করা হবে। একই সঙ্গে ভর্তুকি কমাতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে জল, বায়ু শক্তি, সৌরশক্তি, জৈববস্তু ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে উৎসাহিত করা হবে। ২০২৫ সাল নাগাদ এই খাতের অবদান মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ১০ শতাংশে উন্নীতকরণ করা হবে।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম বলেন, দ্রুত, নিরাপদ, সহজ ও পরিবেশবান্ধব উপায় পেট্রোলিয়াম পণ্য পরিবহনের জন্য আগামী ৫ বছরে পুরো দেশে পাইপলাইন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।